কর বিষয়ে সহায়তা পেলে সুপারমার্কেট ব্যবসা প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে

ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জন, সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও করের বিষয়ে নীতিগত সহায়তা পেলে সুপারমার্কেট ব্যবসা খাত প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) গুলশানে দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘সুপারমার্কেট ব্যবসা খাতের দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৪১ সালে যে জায়গায় যাওয়ার কথা, সেই অনুযায়ী এই খাত এগোতে পারছে না শুধু সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও করনীতির কারণে। এসব বাধা দূর হলেই এই খাত আশার আলো দেখবে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সুপারমার্কেট ব্যবসায়ের যে প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা, তাতে প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে সুপারমার্কেট থাকার কথা। কিন্তু আজ সারা দেশে এক হাজারও সুপারমার্কেট নেই। গত ১২ বছর যত বেশি না সুপারমার্কেট খুলেছে, তার চেয়ে বেশি বন্ধ হয়েছে।’

বক্তব্য দিচ্ছেন সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদ

সুপারমার্কেটের পণ্যে, আমদানি পণ্যে ও কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপকে সাধারণ বাজারের সঙ্গে এ বাজারের টিকতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ খাতের অভিভাবক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো তুলে ধরবো, যাতে এই বাধাগুলো দূর হয়।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন যদি সুনির্দিষ্ট আকারে তাদের দাবিদাওয়া মন্ত্রণালয়ের কাছে উপস্থাপন করে, তাহলে আমরা এ বাধাগুলো বিবেচনা করবো এবং তা দূর করার চেষ্টা করবো।’

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান সুপারমার্কেটে পণ্যের দাম ও মানের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং এগুলো সমাধানের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে সুপারমার্কেট মালিকদের প্রতিষ্ঠান মিনাবাজার, ইউনিমার্ট, আগোরা, স্বপ্ন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের ব্যবসায়ের অন্তরায়গুলো তুলে ধরেন। এ সময় তারা সরকার ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, গণমাধ্যমকর্মী ও গবেষক বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধিসহ এ খাতের সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।