দেশে সবুজ কারখানা ১৮০টি

লিড গ্রিন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিস অব বাংলাদেশ বা সবুজ কারখানার স্বীকৃতি সনদ পেয়েছে তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য। এর ফলে বাংলাদেশে লিড গ্রিন সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮০টিতে।

কোম্পানি দুটির মধ্যে ‘গোল্ড লিড সার্টিফায়েড গ্রিন গার্মেন্টস অব বাংলাদেশ’ সনদ পাওয়া ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেডের যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। গাজীপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি ৬২ পয়েন্ট পেয়ে ১২ ডিসেম্বর সনদ পেয়েছে।

ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি গত ১৩ ডিসেম্বর ৬৮ পয়েন্ট পেয়ে গোল্ড সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।

গত নভেম্বরে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ও বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন,  ‘এ বছর আমাদের সর্বোচ্চ ১৩টি প্লাটিনাম সার্টিফায়েড ফ্যাক্টরি হয়েছে। পাশাপাশি গোল্ড সিলভার এবং সার্টিফায়েড মিলে এ বছর ২৮টি প্রতিষ্ঠান সবুজ কারখানার সনদ পেয়েছে। আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন সার্টিফায়েডের তালিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।’

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এক বছরে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্লাটিনাম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি— আমাদের জন্য বড় পাওয়া। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন বাংলাদেশি পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।’ তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে এবং তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে।’

প্রসঙ্গত, পোশাক কারখানায় সবুজের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৫৮টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৮টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এছাড়া চারটি কারখানা কোনও রেটিং পায়নি, তবে সনদ পেয়েছে।