কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি

সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১৭.১৫ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল ৩৩.২৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ১৬.০৯ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ (৩ আগস্ট) তথ্য অনুযায়ী, আমদানি কমার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। গেলো অর্থবছরের শেষ মাসে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে যায়। এজন্য ডলার সংকট ও আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের  বিধিনিষেধ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৯৪.২৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ, বছরওয়ারি হিসাবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২৭ শতাংশ এলসি কমেছে।

এদিকে ৩০ জুনে সমাপ্ত গত অর্থবছরে আমদানি ১৫.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯.৪৯ বিলিয়ন ডলারে, অপরদিকে রফতানি ৬.২৮ শতাংশ বেড়ে হয় ৫২.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, জুন মাসে আমদানির জন্য ৪.৭৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়, যা ছিল সর্বনিম্ন। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় এলসি খোলা কমে ৪৪ শতাংশ।  আগের মাস মে'তে ৫.৮৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর এপ্রিলে এর পরিমাণ ছিল ৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ বাঁচাতে এলসি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এলসি খোলার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর কারণে সার্বিকভাবে এলসি’র পরিমাণ কমেছে।