ভারতের সঙ্গে পেঁয়াজ-চিনি নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কেটে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে পেঁয়াজ ও চিনি নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। এখন তা কেটে গেছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করার কথা জানিয়েছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবেন।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইআরএফ-বিসিসিসিআই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা।

এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্য আমদানিকারকদের আমরা ডেকেছি। বাণিজ্য, কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সমন্বয় করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উৎপাদন-আমদানি বা রফতানি করে না, বরং পলিসি নিয়ে কাজ করে। এর সমন্বয়ে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে।

রমজানে টিসিবি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে এক কোটি পরিবারকে আমরা খেজুরসহ পাঁচটি প্রয়োজনীয় পণ্য দিই, এ তথ্য জানিয়ে টিটু বলেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করা হবে। এতে সাপ্লাই চেইনের ওপর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধু টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিতে চাচ্ছি না, অতিরিক্ত সাপ্লায়ার তৈরি করতে চাচ্ছি। যাতে বাজারের অন্যান্য অংশে সাপ্লাইটা স্মুথ হয়।

রমজানে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে নিশ্চিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে প্রায় ১৮ লাখ টন চালের রিজার্ভ আছে। চাহিদার তুলনায় এটা পর্যাপ্ত। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। এখন আমাদের দরকার উৎপাদক-আমদানিকারক থেকে হোলসেলার ও রিটেইলারদের যে সাপ্লাই চেইন, তা নিয়ে কাজ করা। এটা সফল করতে পারলে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবেন।

আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটা জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রমজানকে ঘিরে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই মাসকে কেন্দ্র করে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। এসব পণ্য ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। এতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি দ্রুত এনবিআর এই শুল্ক একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে। এটা হলে রমজানে সুবিধা পাবেন ভোক্তারা।