বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। সেজন্য ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, সেটা আগামীতে আরও দীর্ঘতর হবে। বর্তমানে ভুটান থেকে ফল ও গ্রানাইটসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ নিয়মিত রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকাতে নতুন পণ্য যোগ করতেও উদ্যোগ নিচ্ছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সঙ্গে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
একইদিন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়োং সিক এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ভুটানের জন্য বাংলাদেশ অনেক অবদান রেখেছে। ভুটানের বেশিরভাগ চিকিৎসক বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি লাভ করেছে। ভুটানে বাংলাদেশের ওয়ালটন, প্রাণ, হাতিলের পণ্যের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ জানান, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধের কাচামাল ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবেশ উপযোগী বৈদ্যুতিক গাড়িরও চাহিদা রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ কোরিয়া থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধা আশা করে। এসময় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়োং সিক জানান, দুদেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ধরে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। আশা করা যায়, আসন্ন ডাব্লিউটিও সম্মেলনে দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হবে।
সর্বশেষ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর জানান, বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুদেশের মধ্যে আরও সমঝোতা-চুক্তির প্রয়োজন আছে। এর ফলে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ দূর করা যাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ড ‘ইউএনএসকাপ’ আয়োজনে পেলে আরও সম্পূরক আলোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়মিত বাড়ানো হচ্ছে