এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণে ৩ দিনের আল্টিমেটাম, আন্দোলন স্থগিত হলেও কর্মসূচি চলবে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিলুপ্তি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিলের সরকারি আশ্বাসে চলমান কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি থেকে তারা একচুলও সরেননি। আগামী ২৯ মে’র মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের জন্য সরকারকে তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, পূর্বঘোষিত লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি বহাল থাকবে।

সোমবার (২৬ মে) এনবিআর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি এনবিআরের অভ্যন্তরে আস্থার চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় তার নেতৃত্বে সুষ্ঠু রাজস্ব প্রশাসন পরিচালনা সম্ভব নয়। তাই জাতীয় স্বার্থে তাকে অপসারণ করা জরুরি।’

সংগঠনটি আরও জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ কার্যকর না করার এবং এনবিআরকে বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিকে তারা ইতিবাচকভাবে দেখছে। রাজস্বনীতির জন্য আলাদা সংস্থা গঠনের ঘোষণাকেও স্বাগত জানানো হয়। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন খুব শিগগিরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে সরকার।

সংগঠনটি আরও জানায়, ‘গত ১৪ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আমরা কলম বিরতি ও কর্মবিরতি পালন করি। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রফতানি ও বাজেট কার্যক্রমকে আন্দোলনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল দেশীয় স্বার্থে। এখন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত হলেও এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে অসহযোগিতা চলবে।’

সংগঠনটি দাবি করে, এই আন্দোলনের ফলে রাজস্ব ব্যবস্থায় টেকসই সংস্কারের একটি বাস্তব ভিত্তি তৈরি হয়েছে এবং সরকারের সদর্থক প্রতিক্রিয়া আন্দোলনের যৌক্তিকতাকেই প্রমাণ করেছে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, সরকার যথাসময়ে তাদের দ্বিতীয় দাবি—চেয়ারম্যানের অপসারণ রাজস্ব প্রশাসনে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। অন্যথায় তারা নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেবে।