স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন খাতে জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে কর ছাড় দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ৭৬ (১) ধারা এবং ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ৩-এর অনুচ্ছেদ ২(১৩) অনুযায়ী নির্ধারিত শর্তাবলি পরিপালন সাপেক্ষে এই কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর ছাড় সুবিধা পাবে।
কর ছাড়প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশ, রোগী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, শিশুকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছে। তাদের এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কর অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসা ও স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি রক্ত সংগ্রহ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশন পথশিশুদের জন্য স্কুল, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, দুর্যোগকালীন সহায়তা এবং পুনর্বাসনে সক্রিয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম দামে ওষুধ উৎপাদন, গণচিকিৎসা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণে কাজ করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধরনের কর ছাড় উদ্যোগ একদিকে যেমন করদাতাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করবে, অপরদিকে জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই অর্থায়ন ও কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হবে।