পোশাক রফতানি থেকে এলো ৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (রেডিমেড গার্মেন্ট-আরএমজি) খাত থেকে জুন  মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। তবে পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) চিত্র আশাব্যঞ্জক। এ সময় আরএমজি খাত থেকে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে নিট পোশাক (নিটওয়্যার) রফতানি হয়েছে ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের জুনের তুলনায় ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ কম। একই সময়ে ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে।

অপরদিকে পুরো অর্থবছরের বিবেচনায় নিট পোশাক খাতে রফতানি আয় হয়েছে ২১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ওভেন পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জুন মাসে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কিছুটা হতাশাজনক হলেও পুরো অর্থবছরে প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি পোশাক খাতের স্থিতিশীলতা এবং প্রতিযোগিতাশীল সক্ষমতার প্রতিফলন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভোক্তাচাহিদার ওঠানামার মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাত এই অর্জন ধরে রাখতে পেরেছে, যা বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা এবং উদ্যোক্তাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই ফল।’

বিশ্লেষকদের মতে, সাময়িক মন্দা সত্ত্বেও বৈশ্বিক বাজারে চাহিদা পুনরুদ্ধার, উৎসে সহনশীল কাঁচামাল সরবরাহ এবং বাণিজ্য নীতিতে স্থিতিশীলতা থাকলে আগামী অর্থবছরে রফতানিতে আরও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যেতে পারে।