‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বড় করা প্রয়োজন’

পারস্পারিক লাভজনক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশেই লাভবান হতে পারে। এজন্য সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করে আরও বড় করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সচিবালয়ে তার কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রতিমন্ত্রীর এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ ও হর্ষবর্ধন শ্রিংলাবিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। সাক্ষাৎকালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ আমদানিতে বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি, নূমালীগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি, এলএনজি, হাইড্রো কার্বন উত্তোলন, ২য় ও ৩য় ক্রেডিট লাইনের প্রকল্পসহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন। নেপাল বা ভুটানের বিষয়গুলোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

‘ভিশনারি লিডার অব চেঞ্জ’ মনোনীত হওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সমৃদ্ধ করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সবসময় পাশে থাকবে বলেও তিনি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে ভারতের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি সেমিনার করা যেতে পারে।’ হাইকমিশনার বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর পরবর্তী ভারত সফরের সময় এমন একটি সেমিনার বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।’