অটো গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে হচ্ছে নীতিমালা

গ্যাস ওয়ান কোম্পানির অটো গ্যাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও অন্যান্যরা (ছবি: সংগৃহীত)অটো গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। শুক্রবার (২ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ গ্যাস ওয়ান কোম্পানির অটো গ্যাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানান। তিনি আশা করেন, তুলনামূলক কম দামের হওয়ায় অটো গ্যাস ব্যবহারে আগ্রহী হবে সাধারণ মানুষ।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘যানবাহনে মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ থাকলে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্য সম্পর্কে সচেতন হবেন। নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় অটো গ্যাস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে।’

অটো গ্যাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিস্ফোরক অধিদফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘পরিবহনে নতুন জ্বালানি হিসেবে অটো গ্যাসকে জনপ্রিয় করতে চায় সরকার। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সারাদেশে দুই হাজার অটো গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন করার অনুমতিও দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।’

তবে নতুন এই গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখনও দাম নির্ধারণ ও বিপণন ব্যবস্থায় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই বলে জানান নসরুল হামিদ। তার ওপর দেশে পরিবহনের জ্বালানি বিক্রির ক্ষেত্রে একক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সরকারের কাছে। প্রতি ইউনিট এলএনজি ও প্রতি লিটার ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রিতে সরকার নির্দিষ্ট হারে কর পেয়ে থাকে। এই কর আদায় করে থাকে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, এখন অটো গ্যাসের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাবে বিপণন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে কীভাবে কর আদায় হবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আবার কীভাবে দাম নির্ধারণ হবে তাও পরিষ্কার করা হয়নি। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে অটো গ্যাসে গাড়ি চলাচল করছে।

শুক্রবারের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী ও সাইসাস ওয়ান-এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) তমুহিকু কায়ামুতু।

দেশের ওমেরা পেট্রোলিয়াম ও জাপানের সাইসাস ওয়ান-এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে গ্যাস ওয়ান কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি আরও দুটি স্টেশন থেকে অটো গ্যাস বিপণন শুরু করছে। প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।