টানা ছুটিতে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের আশঙ্কা

মেঘনা পেট্রোলিয়াম পাম্পে থাকা নোটিশকর্মী সংকট, ব্যাংক বন্ধ এবং মজুত কম থাকায় রাজধানীর বেশ কিছু সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প আগামীকাল শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। সোমবারের আগে অনেক স্টেশন খুলবে না বলে তারা জানিয়েছেন। ফলে গাড়ির জ্বালানি তেল ও সিএনজির গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকাল থেকে রাজধানীর পরীবাগে মেঘনা তেল বিপণন কোম্পানির সরকারি পাম্পেই তেল বিক্রি দু'দিনের জন্য বন্ধর নোটিশ ঝোলানো হয়েছে।

ফিলিং স্টেশন মালিকরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত থেকে পরিবহন বন্ধ থাকবে তাই তেল বিক্রি হবে না। এজন্য ভোট গ্রহণের দিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। একই কারণে নির্বাচনের দিন বিপিসি তেল সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানালেও আগের দিন বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশনা দেয়নি।

ফিলিং স্টেশনে থাকা নোটিশখোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল থেকে রাজধানীর কোনও কোনও ফিলিং স্টেশনে নোটিশ দিয়ে ২৯ ও ৩০ তারিখ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে। তারা জ্বালানি সংগ্রহের অনুরোধ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ‘তাদের পক্ষ থেকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখতে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু অনেক স্টেশন মালিকই ভোটের জন্য তার কর্মীকে ছুটি দিয়েছে। কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যাবেন ভোট দিতে। এজন্য এই ছুটি দেওয়া হয়েছে।’

মেঘনা পেট্রোলিয়াম স্টেশনে থাকা নোটিশএ বিষয়ে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, ‘সরকারিভাবে এ ধরনের কোনও নির্দেশনা নেই। শুধু পরিবহন না থাকার কারণে রবিবার তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। তবে টানা ৫ দিন সরকারি বন্ধের কারণে ব্যাংক ও ডিপো বন্ধ থাকায় অনেকে তেল তুলতে পারেনি। এ কারণে কিছুটা সংকট তৈরি হতে পারে। ছোটো স্টেশনগুলোর তেলের মজুদ ফুরিয়ে যেতে পারে। আবার অনেকে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে বিপিসির কাছ থেকে তেল কিনতে পারবে না। এজন্য সোমবার পর্যন্ত ৪০ ভাগ স্টেশনে তেল বিক্রি বন্ধ থাকতে পারে।’

ফিলিং স্টেশনে থাকা নোটিশ

এ বিষয়ে খোঁজ নিলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্যিক) আবু হানিফ জানান, তেল বিক্রি বন্ধ নয়। শনিবার তেল সরবরাহ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। নিয়ম অনুযায়ী আমরা শুধু ৩০ তারিখ ছুটির দিন তেল সরবরাহ বন্ধ করবো।