মেঘনা ঘাটে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ইউনিক পাওয়ার

চুক্তিসই অনুষ্ঠাননারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ইউনিক মেঘনা ঘাট পাওয়ার লিমিটেড ( ইউএমপিএল)। বুধবার (২৪ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। এখান থেকে ২২ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তি করেছে পিডিবি।

নারায়ণগঞ্জের ১৯ একর জমির ওপর কেন্দ্রটি নির্মিত হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২০ মিলিয়ন ডলার। চুক্তি অনুযায়ী, কেন্দ্রটি ২০২২ সালে উৎপাদনে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ  ৩.১৬ টাকায় এবং এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ৫.৪৪ টাকায় বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি। তবে উভয়ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর ধরা হয়েছে ৮৪.৬। এইক্ষেত্রে প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর ওঠা-নামার ওপর বিদ্যুতের দাম নির্ভর করবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ সচিব  ড. আহমদ কায়কাউস,  জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, ইউএমপিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আল আর মিলার উপস্থিত ছিলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছি। এখন বেসরকারি খাত ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ভবিষ্যতে এই ধারবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমান্বয়ে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। গ্যাসভিত্তিক, দক্ষ ও কয়লাচালিত বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে আমরা তেলচালিত এসব কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। বিশেষ করে শহর এলাকায় ক্রমান্বয়ে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গ্রামেও সম্প্রসারিত হবে। কোরবানি ঈদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’

অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। নতুন প্রযুক্তি জিই ব্যবহার করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

এতে পিডিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ, ইউনিকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ শরাফত, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফয়জুল আমিন, পিজিসিবির  কোম্পানি সচিব মোহম্মদ জাহাঙ্গীর আজাদ  এবং তিতাসের সচিব মাহমুদুর রব চুক্তিতে সই করেন।