এখন থেকে উদ্যোক্তারা বিইআরসি ওয়েবসাইটে গিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারীর ই-মেইলে লাইসেন্সের কাগজ পৌঁছে যাবে। এ উপলক্ষে ১ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ই-লাইসেন্সিং সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেছে বিইআরসি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগে যারা লাইসেন্স নিয়েছেন তারাও নতুন এই পদ্ধতিতে আবেদন করে নিজেদের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। লাইসেন্স নবায়নের সময় যা কাজে আসবে। এই পদ্ধতিতে আবেদনকারী ব্যাংক পে-অর্ডারে লাইসেন্সের ফি জমা দেবেন। তবে শিগগিরই ই-পেমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে।
নতুন আবেদনের পাশাপাশি সংশোধন এবং নবায়নের জন্য এই পদ্ধতিতে আবেদন করা যাবে। কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-লাইসেন্সিং সিস্টেমে ক্লিক করলে ই-লাইসেন্সিং পোর্টালের হোমপেজ দেখা যাবে। নতুন লাইসেন্সের আবেদন করতে হলে ব্যবহারকারীকে সিস্টেমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় লগইন পাসওয়ার্ড ই-মেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে। সফলভাবে লগইন করার পর সিস্টেমের ড্যাশবোর্ড দেখা যাবে। ড্যাশবোর্ডে ধাপে ধাপে তথ্য দিয়ে ই-লাইসেন্সিংয়ের আবেদন জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে লাইসেন্সের মেয়াদ এক মাস অবশিষ্ট থাকতেই বিনিয়োগকারীকে মেইলে লাইসেন্স নবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, এখন থেকে আবেদনকারীকে আর লাইসেন্সের আবেদন নিয়ে বিইআরসিতে আসতে হবে না। ঘরে বসেই দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এই লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আবেদনকারীর কাগজপত্রের ঘাটতির কারণে লাইসেন্স যাচ্ছে না। নতুন এই পদ্ধতিতে আবেদনকারী অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দিতে পারবে না।
অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য আব্দুল আজিজ, মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদ উল হক ভুঁইয়া।