পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক পক্ষের দাবি বিবেচনায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির ১৫ দফা দাবি পর্যালোচনায় ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাবিগুলো মেনে নিতে জ্বালানি বিভাগ,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং মালিক পক্ষকে নিয়ে এই কমিটি সুপারিশ দেবে। এরমধ্যে কোনও ধরনের আন্দোলনে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মালিক সংগঠনটি।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে পেট্রোল পাম্প এবং ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এসময় জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি, সড়ক বিভাগ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করি। আমরা এমন কোনও কাজ করোব না যাতে দেশের মানুষকে দুর্ভোগে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি, মালিক পক্ষ এবং সড়ক বিভাগের প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি নিজেরা বৈঠক করবে। তারা ৩১ জানুয়ারি আবার আমাদের কাছে আসবে। কোনও দাবি কীভাবে মানা যায় এসব বিষয় ওই কমিটি নির্ধারণ করবে।’

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধির যে দাবি ছিল তা ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২.২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩.২৫ টাকা করার প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

এর বাইরে বড় দাবির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। মালিক পক্ষ এই দাবি বৈঠকে উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গঠিত কমিটি এর যৌক্তিকতা নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে। এরপর সরকার তা বিবেচনা করবে।’

মালিক পক্ষের অভিযোগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে। এই কারণে একটি পেট্রোল পাম্পের মালিকের ১০ বছরে ১৫/১৬ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের সচিব বৈঠকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এই ইজারার হার বর্তমানের চেয়ে ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছি। মন্ত্রিসভা বিষয়টি অনুমোদন করলে এই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।’

১৫ দফা দাবিতে ১ ডিসেম্বর খুলনা, রংপুর ও রাজশাহীতে ধর্মঘট করে মালিকপক্ষ। ২ ডিসেম্বর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।