বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে পিছিয়ে দরিদ্র জনগণ

বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামনারীরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করেন শুধুমাত্র রান্নার জ্বালানি সংগ্রহ, প্রস্তুত ও প্রচলিত পদ্ধতিতে রান্না করার কাজে। অর্ধেকেরও বেশি নারী এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে চাইলেও পারছেন না দারিদ্র্য ও বিকল্প জ্বালানি সুলভ না হওয়ার কারণে। নবায়নযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবন ও জীবিকার ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রান্তিক মানুষ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। বুধবার (২৪ জুন) প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে তা প্রকাশিত হয়েছে।
২০তম জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সম্মেলন এবং গ্রিন এক্সপো ২০২০-এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাকটিকাল অ্যাকশন তাদের বৈশ্বিক প্রকাশনা ‘পুওর পিপলস্ এনার্জি আউটলুক’-এর ২০১৯ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে পরিকল্পনা, অর্থ এবং সরবরাহের মধ্যে সংযোগ দেখানোর পাশাপাশি গ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সুষম ও সর্বজনীন ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এবং এখানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান।
সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের উচিৎ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ানো। এ লক্ষ্যে সবুজ শক্তি কৌশল উন্নীত করা উচিৎ।
প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ উল্লেখ করেন, প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে প্রতিদিন যে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদন হয় তা থেকে শক্তি উৎপাদনের লক্ষে আমিনবাজারে ৩৬ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকারের ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির মূখ্য সমন্বয়ক বিষয়ক জুয়েনা আজিজ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক এবং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক।