বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে যে পরামর্শ দিলেন প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। পাশাপাশি পরিবেশ ও সামাজিক নানা নির্দেশক উন্নয়নেও সহায়তা করে। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সাশ্রয়ের উপকারী দিক ও প্রক্রিয়াগুলো গ্রাহক ও জনগণকে অবহিত করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (৮ জুন) ঢাকায় “ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ কর্মকার বক্তব্য দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহাপরিকল্পনা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রাথমিক জ্বালানির ২০ ভাগ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সময়ের প্রেক্ষিতে তা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহারে স্রেডা কাজ করছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রাদি ব্যবহার করা আবশ্যক।’

নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন যে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা তা বাড়ানোর উদ্যোগও আমাদের নিতে হবে। মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

এই কর্মশালায় স্রেডাতে পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন প্রোমোটিন ফিন্যান্সিং প্রজেক্টের টিম লিডার কনসালট্যান্ট ইউসি হিকোকাতো ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ জিডিপিপ্রতি জ্বালানি ইন্টেন্সিটি কমেছে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়। তিনি ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স তৈরিতে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে তথ্য দেওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।