সাগর উত্তাল: এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসের সংকট

সাগর উত্তাল থাকায় বিঘ্ন ঘটছে এলএনজি খালাসে।এতে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাইপলাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। আগামী তিন দিন আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিকে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হবে। রবিবার (১৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস কোম্পানি এ তথ্য জানয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানায়, আগামী তিন দিন অর্থাৎ ১৬ জুন পর্যন্ত সাগরে বৈরী আবহাওয়া কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার ফলে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন  বা স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) আলী মো. আল- মামুন জানান, জাহাজ এসে বসে আছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় আমরা এলএনজি আনলোড করতে পারছি না। ফলে এখন জমানো গ্যাস দিয়ে চালাচ্ছি। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে। ফলে আমরা এলএনজি নামাতে পারবো না। এই কারণে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসসের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এই তিন দিন ঘাটতি মেটাতে গ্যাস রেশনিং এর নিদেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এলএনজি পাবো না। গ্যাসের বড় ঘাটতি হবে। সেটি কীভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করছি। সকালে উঠে মানুষকে নাস্তা তো করতেই হবে। তাই আবাসিক ও বিদ্যুৎকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, আর সিএনজির বিকল্প তো তেল আছে। ফলে আমরা এসব বিবেচনা করেই রেশনিং করবো, আগামী তিন দিন।’

তিতাস জানায়, প্রতি দিন ১৭৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ছিল। এই সরবরাহ এখন ১৬৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে আরও  কম। গ্রাহক কম হওয়া সত্ত্বেও জালালাবাদ, কর্ণফুলী আর বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি  বেশি সরবরাহ পাচ্ছে বলে অভিযোগ তিতাসের।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর কর্মকর্তারা জানান, তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ১৪৫০ মিলিয়ন  ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ১৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়ে আসছিলাম। এখন তা ১১৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। এর ফলে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত না হলেও খরচ কিছুটা বেড়েছে। গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি মোকাবিলায় ৭০০ মেগাওয়াট তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়েছে।