এলএনজি আনতে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে এমওইউ

ভারত থেকে আন্তঃসীমান্ত সঞ্চালন লাইন বসিয়ে দীর্ঘমেয়াদে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য ভারতীয় কোম্পানি এইচ-এনার্জির সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা। গতকাল বুধবার (১৬ জুন) দুই কোম্পানির মধ্যে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয় বলে এইচ-এনার্জির বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) আলী মো. আল মামুন এমওইউ-এর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে এলএনজি  আমদানি করতে দেশটির প্রভাবশালী হিরানন্দানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এইচ-এনার্জির সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি হয়েছে।

এ ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমে কোনও কিছু জানানো হয়নি কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা (চুক্তি) আসলে গ্যাস সরবরাহের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এখনো দীর্ঘমেয়াদি অনেক কাজ বাকি। তাই গণমাধ্যমে জানানোর মতো প্রয়োজনীয় মনে হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার দুপুরে পেট্রোসেন্টারেই এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্মারক সই অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলা ও এইচ-এনার্জির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এইচ-এনার্জি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এইচ-এনার্জি পশ্চিমবঙ্গে তাদের এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে। ভারতের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ডের (পিএনজিআরবি) অনুমোদন নিয়ে এইচ-এনার্জি পশ্চিববঙ্গে তাদের এলএনজি টার্মিনালকে যুক্ত করে কানাই চাট্টা থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন লাইন বসাবে এবং পরিচালনা করবে। এই লাইন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তকেও যুক্ত করবে এবং সেই পাইপলাইন দিয়েই বাংলাদেশে রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি (তরলীকৃত গ্যাসকে পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর) সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

খবরে আরও বলা হয়েছে, এইচ-এনার্জি ভারতের একমাত্র কোম্পানি, যারা বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। আর-এলএনজির উৎস বের করে তা পেট্রোবাংলার কাছে সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে এইচ-এনার্জির মালিকানাধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এইচই মার্কেটিং।