ক্রস চেকের মাধ্যমে ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরত দেবে তিতাস

ক্রস চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরত দিতে যাচ্ছে তিতাস। চলতি সপ্তাহে তালিকা চূড়ান্ত করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। এরপর স্বল্পতম সময়ে চেক ইস্যু করে গ্রাহকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের মে মাসে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধের লিখিত নির্দেশনা জারি করে সরকার। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্যাস সংযোগের জন্য জমা দেওয়া ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ। গত দেড় বছর ধরে কোন প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে তা নির্ধারণই করতে পারেনি তিতাস। এই বাস্তবতার মধ্যে ক্রস চেকের মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক সভায় ক্রস চেকের মাধ্যমে গ্রাহকের ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ক্রস চেকের জন্য আমরা গ্রাহকদের যে তালিকা ছিল তা চূড়ান্ত করছি। জোন ভিত্তিতে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আমরা তালিকা চূড়ান্ত করবো। এরপর গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের নাম, ফোন নম্বর ও অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকেই ক্রস চেক দেওয়া শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ক্রস চেক দিয়ে সরাসরি নগদ টাকা তোলা যায় না, অ্যাকাউন্টে চেক জমা দিয়ে টাকা তুলতে হয়।

সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে আবাসিকের ৫৬ হাজার গ্রাহকের ডিমান্ড নোটের বিপরীতে ৪০ কোটি টাকা তিতাসের কাছে জমা আছে।

২০১৯ সালের ২১ মে আবাসিক, সিএনজি ও বাণিজ্যিকে ক্ষেত্রে নতুন করে আর কোনও গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার জন্য আদেশ জারি করে সরকার। কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া ডিমান্ড নোটের টাকার কী হবে, সে বিষয়ে তখনও সরকারের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এর ১৯ মাস পর গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বালানি বিভাগ থেকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গ্যাস সংকটের কথা বলে আবাসিক সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে ফের আবাসিকের সংযোগ চালু করে। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আবারও জ্বালানি বিভাগ থেকে অলিখিতভাবে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়। যদিও ২০১৩ থেকে ২০১৯ অবধি ডিমান্ড নোটের টাকা জমা নিয়েছে তিতাস।