মগবাজারের বিস্ফোরণস্থলে গ্যাসের গন্ধ, পরিত্যক্ত রাইজারের সন্ধান

রাজধানীর মগবাজারের রাখি নীড়ে বিস্ফোরণ স্থলের আশপাশে  গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই অভিযোগ পেয়ে তিতাসের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা বলছে, ভবনের ভেতরে তাদের কোনও লাইন নেই। লাইন বাইরে দিয়ে গেছে, এর মাধ্যমে আশেপাশের বাসায় গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই ভবনের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত রাইজার পাওয়া গেছে।

রবিবার (৪ জুলাই) তিতাস কোম্পানির তদন্ত কমিটির সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের তদন্ত কমিটির প্রধান ডিজিএম (জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে টিম পাঠিয়েছি। তারা ভেতরে একটি পরিত্যক্ত রাইজার পেয়েছে। এখন সেই রাইজারের লিকেজ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গ্যাসের মূল বিতরণ লাইন থেকে বাসার ভেতরে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের মাঝখানে যে সংযোগস্থল , সেখানে একটি রেগুলেটর থাকে। গ্যাসের প্রেসার ঠিক  রাখার  এই যন্ত্রটিকেই রাইজার বলা হয়।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়া বিল্ডিং এর ভেতরে তিতাসের কোনও গ্যাসের লাইন নেই। বাইরে দিয়ে একটি লাইন গেছে। এটি খুবই ছোট লাইন এবং খোলা জায়গায় হওয়ায় গ্যাস জমা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

বন্ধ ঘরে আগুন জ্বালানোর জন্য ৫ ভাগ গ্যাসের সঙ্গে ১৫ ভাগ বাতাসের মিশ্রন দরকার। কিন্তু তিতাসের গ্যাস বাতাসের চেয়ে হালকা হওয়ায় তা উড়ে যায়। কাজেই এই ছোট পাইপের অল্প গ্যাস দিয়ে আগুন জ্বলা সম্ভব নয় বলে মনে করছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে তিন তলা ‘রাখিনীড়’ নামের ভবনে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিতাস প্রথম থেকেই বলছে, পাইপের গ্যাস নয়, এলপিজির লিকেজ থেকে হতে পারে এই বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় তিতাস, বিস্ফোরক পরিদফতর, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি গঠন করে।