‘তেলের ওপর চাপ কমাতে গণপরিবহনকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর করা দরকার’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলেও তা সাময়িক। দাম কমলে কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের ওপর চাপ কমাতে

গণপরিবহনকে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তর করা দরকার। সেক্ষেত্রে মধ্যরাত থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করলে বিদ্যুতের দাম কমানোর কথাও আমরা বিবেচনা করবো।

শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত দশটায় প্রতিমন্ত্রী তার ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, আমরা কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছি। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক রকমের বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল, গ্যাস ও কয়লার এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো অবস্থানের দেশগুলোকেও বিপাকে ফেলেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, আমরাও এর বাইরে না। জ্বালানির অপর্যাপ্ততার কারণে ভারত ও চীনের মত দেশও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমরা এখনও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদনের জন্য নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছি।

তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও পার্শ্ববর্তী দেশে আমাদের থেকে দাম বেশি হওয়ার কারণে পাচার হওয়ার আশঙ্কায় আমাদেরও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে হয়েছে। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে আসামাত্রই আবারও আমরা দাম সমন্বয় করবো। তবে এটা স্থায়ী সমাধান না। আমাদের স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে। এটা ঠিক যে, জ্বালানি তেলের দামের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কৃষি থেকে পণ্য পরিবহন অনেক কিছুই জড়িত। কৃষি যেহেতু দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন, তাই সেখানে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমাদের এখন থেকেই বিকল্প ভাবতে হবে। বিশেষ করে পাবলিক ইউটিলিটি ট্রান্সপোর্টকে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তর করতে পারলে জ্বালানি তেলের ওপর চাপ অনেকটা কমে আসবে। যারা পরিবহন ব্যবসা করেন তারা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারেন। সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। জ্বালানি তেল ব্যবহার করে যে পরিমাণ ইফিসিয়েন্সি পাওয়া যায় তার থেকে চারগুণ বেশি ইফিসিয়েন্সি পাওয়া সম্ভব ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করলে। পরিবেশ দূষণ কমার পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহারও বাড়ানো সম্ভব। মধ্যরাত থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করলে বিদ্যুতের ট্যারিফ কমানোর কথাও আমরা বিবেচনা করবো।