রূপপুর প্রকল্পে যন্ত্রপাতি আসছে পরমাণু শক্তিচালিত জাহাজে

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৪শ’ টন মালামাল পরিবহনে পরমাণু শক্তিচালিত একটি জাহাজ ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে সমুদ্রপথে পরিবহনে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। রোসাটমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সেভমোরপুত’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি স্টিল কাঠামো ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভ্লাদিভস্তকের নাখোদকা বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। উত্তর সমুদ্রপথের (নর্দার্ন সি-রুট) পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছতে জাহাজটির লেগেছে ২২ দিন। নাখোদকা বন্দর থেকে অন্য একটি জাহাজে চালানটি রূপপুর প্রকল্পে পৌঁছে দেওয়া হবে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান এটমফ্লোটের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিওনিদ ইরলিস্তা জানান, ‘কোনও কোনও স্থানে বরফের স্তর বেশ পুরু ছিল। তবে, জাহাজটির অসাধারণ কার্যক্ষমতা ও ক্রুদের দক্ষতায় কোনও বিলম্ব হয়নি।’

উত্তর সমুদ্রপথ নিয়ে রাশিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এই রুটে ৮ কোটি টন মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি। ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম কোনও সমুদ্রবন্দর থেকে উত্তর সমুদ্রপথ ব্যবহার করে দূরপ্রাচ্যে পৌঁছাতে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়, তা সুয়েজ খাল ব্যবহারের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কম।

রাশিয়ার জালিভ শিপ-ইয়ার্ডে তৈরির পর ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরমাণু শক্তিচালিত সেভমোরপুত মালবাহী জাহাজটি তার কার্যক্রম শুরু করে। কেএলটি-৪০ পারমাণবিক রিয়েক্টর সমৃদ্ধ জাহাজটি অন্য কারও সহযোগিতা ছাড়াই এক মিটার পর্যন্ত পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম। উল্লেখ্য, এটমফ্লোট বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা পরমাণু শক্তিচালিত আইস-ব্রেকার ও কার্গো জাহাজ পরিচালনা করে।