'বৈশ্বিক জ্বালানি চ্যালেঞ্জ সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য'

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক জ্বালানি চ্যালেঞ্জের নির্ভরযোগ্য সমাধান করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়ানো প্রয়োজন। সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ)’র ১২তম অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে এক সেশনে জিম্বাবুয়ে, কলম্বিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, এল সালভাদর, বেলজিয়াম, নরওয়ে, উরুগুয়ে, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, গ্রিস, স্পেন, চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, সার্বিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, সান মারিনো ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬০ লাখেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে গ্রিড নেটওয়ার্কের বাইরে ২ কোটিরও বেশি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। ২৬টি মিনিগ্রিডের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রিডমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০০-এরও বেশি সৌর সেচ ব্যবস্থা এখন কাজ করছে যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডিজেল খরচ কমিয়েছে। এখন পর্যন্ত, ২৩১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি সোলার পার্ক গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। দেশে স্থাপিত ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্রায় ৬৫০ মেগাওয়াট।

তিনি আরও বলেন, বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য কঠিন। ভাসমান বা ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ছাদে সোলারকে উৎসাহিত করার জন্য নেট মিটারিং নির্দেশিকা চালু করেছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য সৌরশক্তির পাশাপাশি বায়ুশক্তি, বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা অন্বেষণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। সরকার ঢাকা উত্তর সিটির একটি ডাম্পিং সাইটে ৪২.৫ মেগাওয়াট ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি করেছে। একই প্ল্যান্ট পর্যায়ক্রমে আরও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বড় আকারে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সমুদ্রের দিকে নজর দেওয়ার সময়ও এসেছে।