‘সুইডেন স্রেডার সঙ্গে সমন্বয় করলে দেশে সবুজ রূপান্তর দ্রুত হবে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জির প্রসারে কাজ করছে। কার্বন ইমিউশন খুব কম করেও বাংলাদেশ  ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কার্বন ট্রেডের আওতায় এখানে বিনিয়োগ হতে পারে— যাতে কম মূল্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফুয়েল মিক্সে ক্লিন এনার্জি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এইচঅ্যান্ডএম এবং সুইডেন স্রেডার (সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) সঙ্গে সমন্বয় করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে  বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা সবুজ রূপান্তর আরও  দ্রুত হবে।’ 

বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের হাইকমিশনার আলেকজান্ডা বার্জ ভন লিন্ডের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। 

প্রতিনিধি দলে সুইডিশ দূতাবাসের প্রথম সচিব অ্যানা ভানটেসন, কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, এইচঅ্যান্ডএম-এর পাবলিক অ্যাফেয়ার ম্যানেজার মাশাররাত কাদের, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সুইডেনের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় সুইডিশ কোম্পানি এইচঅ্যান্ডএম এর গ্লোবাল হেড ইউসুফ ইল নাটুর জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, নাবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ রূপান্তর ও রিসাইক্লিনিং নিয়ে আলোকপাত করেন। কার্বন ইমিউশন ও এর প্রতিকার নিয়েও আলোচনা হয়। 

এসময় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং সংশ্লিষ্ট খাতে কারিগরি ও প্রযুক্তি সহায়তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।