বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের

গ্যাস বিল বকেয়া রাখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জ্বালানি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে এখনও কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর বিল পরিশোধ করতে বলা হবে। না দিলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর মোট পাওনা বিলের পরিমাণ ৭ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মে মাসে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয় থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বকেয়ার পরিমাণ নির্ধারিত ছকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে কত বকেয়া আছে তা বোঝা যায়।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকলে আগে দেন-দরবারেই সীমাবদ্ধ থাকতো বিতরণ কোম্পানির তৎপরতা। জ্বালানি বিভাগ থেকেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে শুধু চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হতো। এবারই প্রথম কঠোর হতে দেখা গেলো।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৮ জুন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠক হয়। ৪ জুলাই এ নির্দেশ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া সাড়ে চার কোটি টাকা

জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা ওই বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি গ্যাস বিল বকেয়া রাখে তাদের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।

জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এর আগে সাধারণত আমরা যাদের বিল বকেয়া থাকতো সেসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। অনেক ক্ষেত্রে কাজ হলেও বকেয়া বিলের কথা কেউ মাথায় রাখতো না। গ্যাস ব্যবহার করতো, কিন্তু বিল পাওয়া যেতো না। পেলেও অনেক দেরিতে।

তিনি আরও জানান, বিতরণ কোম্পানিকে পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হয়। আবার গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিকেও বিল পরিশোধ করতে হয়। এখন সরকারি বা বেসরকারি যারাই বিল বকেয়া রাখুক না কেন সেটি একটি বড় সমস্যা তৈরি করছে।

তিতাসের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা মোট বকেয়ার পরিমাণ (বিদ্যুৎসহ) একসঙ্গে জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছিলাম। তবে জ্বালানি বিভাগ থেকে পৃথকভাবে গ্যাস বিলের বিষয়ে নির্দেশনা আসায় এখন আমরা সেভাবে কাজ করছি।

সূত্র বলছে, সরকারি বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্পে গ্যাস ব্যবহার হয়। সাধারণত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যালয় এই বিল পরিশোধ করে। এছাড়া সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সারকারখানা জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে। বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন কেন্দ্রগুলো নির্দিষ্ট সময়ে বিল পরিশোধ করলেও অন্যরা দিতে চায় না।