যেসব এলাকায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রায় সাত ঘণ্টা পর ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ঢাকার বাইরেও বহু এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ না এলেও রাত ১১টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে বিতরণ কোম্পানিগুলো জানায়।

তবে পুরোপুরি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা লোডশেডিং করতে হতে পারে বলেও তারা জানিয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‌‘পাওয়ার গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন। দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। ধৈর্য ধারণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

তিনি জানান, ‘রাজধানীর মিরপুর, মগবাজার, মাদারটেক, রামপুরা, গুলশান, উলন, বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, আফতাবনগর, বনশ্রী, ধানমন্ডি (আংশিক), আদাবর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, মিন্টু রোড, মতিঝিল, শ্যামপুর, পাগলা, পোস্তগোলাসহ বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।’

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ডিপিডিসির অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে এসেছে। তবে সব এলাকায় পুরোপুরি দিতে পারিনি এখনও। কোথাও কোথাও আংশিক বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন ১৪০০ মেগাওয়াট, এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৯০০ মেগাওয়াট।’

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, ‘ডেসকোর অধীনে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আমাদের এখনকার যে আবহাওয়া, তাতে ৯০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আপাতত আমরা ৭০০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। তাই লোড ম্যানেজমেন্ট করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিমন্ত্রীর প্রকাশিত তালিকার বাইরে শান্তিনগর, পান্থপথ, বিমানবন্দর, উত্তরা, মিরপুর, বসুন্ধরা, গুলশান, বনানী, কল্যাণপুর, মানিকনগর, মোহাম্মদপুর, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে সব এলাকায় পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। রাতের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।