১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে মারুবিনি-ইজিসিবি

জাপানি কোম্পানি মারুবিনির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজিসিবি)। এ লক্ষ্যে উভয় কোম্পানি একটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) মারুবিনি ও ইজিসিবির মধ্যে যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠনের চুক্তি হতে যাচ্ছে।

ইজিসিবি এর আগে ফেনীর সোনাগাজীতে একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইজিসিবি সূত্র বলছে, চলতি মাসে বা নভেম্বরে কেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসতে পারে। কেন্দ্রটি প্রথমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও এখন সেটি ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হচ্ছে।

ইজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর সোনাগাজীতেই আরও একটি ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রটির যৌথ উদ্যোক্তা হচ্ছে মারুবিনি ও ইজিসিবি। কেন্দ্রটির জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে ইজিসিবি। এখন কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ আগামী বছর শেষ করতে চায় ইজিসিবি।

ইজিসিবি’র একজন কর্মকর্তা জানান, ফেনীর সমুদ্র উপকূলে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনেক অনাবাদি জমি রয়েছে। এসব জমিতে এক সিজনের চাষাবাদ হলেও অন্য সময় খালি পড়ে থাকে। আবার ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে কোনও কোনও বছর কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারেন না।

যদিও সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বড় বাধা হচ্ছে জলোচ্ছ্বাস এবং ঝোড়ো হাওয়া। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেক্ষেত্রে সোনাগাজীতে সোলার প্যানেলগুলো  অবকাঠামোর ওপর এমনভাবে বসানো হচ্ছে, ২৮০ কিলোমিটার বেগে আসা ঝোড়ো হাওয়াতেও প্যানেলগুলোর ক্ষতি হবে না।

ইজিসিবি সূত্র জানায়, সোনাগাজীতে এখন যে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রের সোলার প্যানেলের উচ্চতা কমিয়ে চারপাশে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, সরাসরি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস কেন্দ্রটিকে আঘাত করতে পারবে না। শুরুতে বেড়িবাঁধে আঘাত করবে, এরপর তা কেন্দ্রের মধ্যে আসবে। কোনও কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হলে তা  নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সরকার দ্রুত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে চাইছে। এ জন্য বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ছে, যা দেশের ডলার সংকট দূর করতে সহায়ক হবে।

প্রসঙ্গত, জাপানি কোম্পানি মারুবিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি, অবকাঠামো ছাড়াও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে থাকে। সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি কোম্পানিটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মাণ করে। সোনাগাজী সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় এখানে সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেরও সুযোগ রয়েছে।