বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি: কারণ ব্যাখ্যা জ্বালানি বিভাগের

বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দাম বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় এই দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয় মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। ফেব্রুয়ারি বিলিং মাস থেকে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ৫ দশমিক ৩৬ ভাগ) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ২ দশমিক ৫০ ভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ ভাগ, শিল্পে ২৩ ভাগ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ ভাগ, গৃহস্থালিতে ১০ ভাগ, সার উৎপাদনে ৭ ভাগ, সিএনজিতে ৪ ভাগ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ ভাগ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।

এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬০০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে জানায় জ্বালানি বিভাগ।

আরও পড়ুন- 

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়লো

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম

বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, মার্চ থেকে কার্যকর 

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ছে, আবাসিকে নয়