‘বাংলাদেশের সব উন্নয়নকাজে পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সব উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। টেকসই কৃষি ব্যবস্থা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির অগ্রগতি তাই লক্ষণীয়। ডিজেল থেকে সোলার সেচ পাম্প শুধু কার্বন নিঃসরণই কমাবে না; একইসঙ্গে ভূগর্ভস্থ জল সম্পদ সংরক্ষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখবে।

বুধবার (২০ মার্চ) জার্মানির বার্লিনে বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়লগ ২০২৪ এ ‘ডায়লগ হাব: এনার্জি-ওয়াটাএ-ফুড নেক্সাস: হলিস্টিক সলুশন ফিন ফুড অ্যান্ড ওয়াটার সাপ্লাই পাওয়ারড বাই রিনিউয়েবলস” শীর্ষক প্যানেল  ডিসকাশনে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৩ লাখ কৃষক সুবিধা পাবে আশা করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ডিজেল ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া কমে আসবে।

সোলার হোমসিস্টেম গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পরিষ্কার জ্বালানির উৎসের প্রতি আকৃষ্ট করছে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ উদ্ভাবন এবং স্থিতিস্থাপকতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এই যুগান্তকারী উদ্যোগটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পরিষ্কার এবং টেকসই জ্বালানির উৎসগুলির প্রতি আকৃষ্ট করছে; সেই সঙ্গে তাদের আশা ও আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করে নিজেদের স্বাবলম্বী করছে।

জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি ড. বারবেল কফলাররের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নসরুল হামিদ

বুধবার বার্লিনে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি ড. বারবেল কফলাররের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নসরুল হামিদ। এসময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, বায়ু প্রযুক্তিতে জার্মানির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বায়ু বিদুত্যের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে।   

জার্মানির সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে সহযোগিতা করবে।