৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে ব্যাংক

এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ ১৫ শতাংশ লভ্যাংশের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও লভ্যাংশ ঘোষণা দিতে পারবে।

সোমবার (১৪ মার্চ) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই (নন ব্যাংক) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।

বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদসহ বিএসইসির একাধিক নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারতো। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল। তবে আজকের আলোচনার মাধ্যমে সেটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ কত হবে, সেটা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃ করা নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে, সে বিষয়ে  সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে’