কঠোর লকডাউনের আগে শেয়ার বাজারে বড় উত্থান

করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধ থাকবে ব্যাংক। শেয়ার বাজারেও লেনদেন হবে না। শেয়ার বাজারে লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বড় উত্থান হয়েছে।

দুই বাজারেই মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। সেই সঙ্গে দাম বৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয় এবং ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই এই চিত্র বদলে যায়। বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ কমায় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠে সূচক। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন বাদ দিলে বাকি দুই ঘণ্টাজুড়েই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে বড় উত্থান হয় সবকটি সূচকের।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘ডিএসই-৩০’ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর ‘শরিয়াহ্’ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজারে দিনভর লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির। ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৮৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।