শেয়ার বাজারে টানা ৫ দিন ধরে উত্থান

উত্থানের মধ্যে দিয়ে বুধবার (২১ এপ্রিল)  শেষ হয়েছে শেয়ার বাজারের লেনদেন। শুরুতে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের সামান্য উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের মাঝে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো।

মূল্যসূচকের টানা উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে শেয়ার বাজারে। অবশ্য বুধবার প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের তুলনায় কম লেনদেন হয়েছে। এদিন বাজারটিতে সাতশ’ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়।

সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা করে শেয়ার বাজারে  লেনদেন চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এ পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূল্যসূচক বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। এতে পাঁচ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান সূচক বাড়লো ১৬৩ পয়েন্ট।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দাম কমেছে ১৫৭টির এবং ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫২৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।