শেয়ার বাজারের সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ালো

তিন বছর সাড়ে তিন মাস পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রবিবার (৩০ মে) সকাল ১০টা ৩ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে তিন বছর আগের মাইলফলকটি স্পর্শ করে। এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ ডিএসইর সূচক ছিল ৬ হাজার ৫০ পয়েন্ট।

প্রায় দুই মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা শেয়ার বাজারে রবিবার লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। তবে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করার পর তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। একের পর এক ব্যাংক পতনের তালিকায় নাম লেখানোর কারণে সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এমনকি ১০টা ২৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক এক পয়েন্ট কমেও যায়।

অবশ্য দিন শেষে লেনদেনে আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারা ফিরে পায় শেয়ার বাজার। এতে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলকে পৌঁছে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার আট পয়েন্টে উঠে এসেছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো বাজার মূলধন রবিবার আরও উচ্চতায় উঠে এসেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ দুই হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনে বাজার মূলধন বেড়েছে ৭১৬ কোটি টাকা।

রেকর্ড বাজার মূলধন ও সূচকের উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনও হয়েছে বড় অংকে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৯ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪৩টির দাম কমেছে এবং ৩৯ দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।