শেয়ার বাজারে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

বড় দরপতনের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে দেশের শেয়ার বাজারে। বুধবার (৩ নভেম্বর) প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই’র পাশাপাশি অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এরপরও লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ছয় পয়েন্ট কমে যায়। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু এরপরই হুড়মুড় করে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে বড় দরপতনের মধ্যে পড়ে যায় শেয়ার বাজার। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর ফলে টানা দুদিনের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১০০ পয়েন্ট কমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সাত পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর ডিএসই’তে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৬টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা প্রায় পাঁচ মাস বা চলতি বছরের ২৯ জুনের পর সর্বনিম্ন। ২৯ জুন ডিএসই’তে লেনদেন হয় এক হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। এরপর বুধবারের আগে ডিএসইতে আর এক হাজার ২০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়নি।

টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।