১০ জুনের মধ্যে অবণ্টিত মুনাফা সিএমএসএফ ফান্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের অবণ্টিত ডিভিডেন্ড (মুনাফা) ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সব তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে বিএসইসির উদ্যোগে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করা হয়। এই তহবিলের উৎসব হচ্ছে তিন বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের অবণ্টিত নগদ এবং বোনাস লভ্যাংশ। বিএসইসির অনুমান অনুসারে, অবণ্টিত লভ্যাংশের মোট পরিমাণ হতে পারে ২০ হাজার কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, গত বছর এই ফান্ড গঠন করার পর অবণ্টিত লভ্যাংশ ফান্ডে স্থানান্তর করার জন্য কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয় সব কোম্পানি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু তাতে সামান্যই সাড়া মিলেছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার কোটি টাকাও জমা হয়নি এই ফান্ডে। গত ২৬ মে পর্যন্ত আলোচিত ফান্ডে জমা হয়েছে মাত্র ৭৯৮ কোটি টাকা। এই বাস্তবতায় নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে কমিশন কর্তৃক একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনা অনুযায়ী- আপনাদের ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডে নগদ ও স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ বা যেকোন তহবিল বা অবণ্টিত শেয়ার বা অমীমাংসিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত দাবিহীন বা ফেরত না হওয়া পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ গত ৩০ মের মধ্যে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, কিছু কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত বিধি এবং কমিশনের নির্দেশের বিধান অনুযায়ী অবণ্টিত নগদ ও স্টক বা বোনাস শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেনি। তাই এসব কোম্পানিকে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ আগামী ১০ জুনের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক ও বিও হিসাবে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।