আমাকে বলতে দিন

প্রভাষ আমিনআমি সবসময় মত প্রকাশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি মত প্রকাশের স্বাধীনতাই একটি সমাজের গণতন্ত্রের, অগ্রগতির মাপকাঠি। বাংলাদেশের সংবিধানেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আছে, তবে সেটা শর্তসাপেক্ষে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধারণাতেই একটু বিভ্রান্তি আছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে সব মানুষের মন খুলে ন্যায্য কথা বলার স্বাধীনতা। যতই সমৃদ্ধি থাকুক, মন খুলে নিজের কথাটা বলতে না পারলে মানুষের অসন্তোষ কমে না। সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির পর ইদানীং মত প্রকাশের ধারণাটাই পাল্টে গেছে। গণমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যমের ব্যবধান কমে আসছে দ্রুত। মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক মাধ্যমে তার মত প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা যতই থাকুক, তার সঙ্গে দায়িত্বশীলতার একটা সম্পর্ক আছে। স্বাধীনতা মানেই যা ইচ্ছা তাই বলা বা লেখা নয়। সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও শর্তসাপেক্ষেই নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবিধানের ৩৯/২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল’। গণমাধ্যমে দায়িত্বশীলতার একটা প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে দায়িত্বশীলতাটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক। গণমাধ্যমে রিপোর্টার চাইলেই কিছু লিখে ফেলতে পারেন না। চিফ রিপোর্টার, নিউজ এডিটর, এমনকি সম্পাদকেরও তা দেখার, সম্পাদনা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। কিন্তু এটা হওয়া উচিত নয়। ব্যক্তি হলেও কিছু লেখার আগে তার সামাজিক দায়বদ্ধতা, শালীনতা, ধর্মীয় অনুভূতি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের দায়ের করা মামলায় গত ১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে দৈনিক শিক্ষা ডটকম’এর সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানকে। সিদ্দিক একজন পরিচিত সাংবাদিক। বিশেষ করে শিক্ষা খাতের দেশের সেরা সাংবাদিকদের একজন। বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করার পর সম্প্রতি তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সম্পাদনা করছিলেন। শিক্ষা বিষয়ক সব ধরনের খবরের এই নিউজ পোর্টালটি অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি একটি সাংবাদিক পরিবারের সদস্য। তার ভাই মিজানুর রহমান খান আইন বিষয়ক সাংবাদিকতায় সুনাম অর্জন করেছেন। তবে তার বন্ধুদের অনেকেই বলছেন, সিদ্দিকুর রহমান খান দৈনিক শিক্ষাডটকম’এ রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে কখনও কখনও সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তার রিপোর্টিংয়ের ভাষা সবসময় সাংবাদিকতার নিয়ম মেনে চলেনি। হতে পারে এটা তার বয়সজনিত উত্তেজনাপ্রসূত, অসৎ উদ্দেশ্যমূলক নাও হতে পারে। উদ্দেশ্যমূলক না হলেও যাদের বিরুদ্ধে লেখা হচ্ছে, তারা সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। সংক্ষুব্ধ হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মামলাও করতে পারেন।

সাংবাদিকরা অবশ্যই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সাংবাদিক হলেও সবাই মানুষ, তার ভুল হতে পারে। সাংবাদিক হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না, এমন দাবিও আমি করছি না। কিন্তু একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলেই তাকে দ্রুত গতিতে গ্রেফতার করে ফেলা আমাদের মধ্যে একধরনের শঙ্কা তৈরি করে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে আমরা কুণ্ঠিত হই। এই প্রবণতা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের সমান্তরাল নয়। দৈনিক শিক্ষা ডটকম’এ ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বলে শুনেছি, তবে পড়িনি। সাংবাদিক হিসেবে আমার যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তেমনি আমার কথায়-লেখায় কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ করাটাও তার অধিকার। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সাংবাদিকরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখবে। আর যার বিরুদ্ধে লেখা হবে, তিনি সবসময়ই তার প্রতিবাদ করবেন। রিপোর্ট মিথ্যা বলে দাবি করবেন। সবার দাবি আমলে নিলে তো সাংবাদিকদের কলম রুদ্ধ হয়ে যাবে। দৈনিক শিক্ষডটকম’এ প্রকাশিত ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে রিপোর্টগুলো সত্যি হতে পারে, মিথ্যাও হতে পারে। ফাহিমা খাতুন প্রতিবাদ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে ফাহিমা খাতুন মামলা করেছেন। পুলিশ তার তদন্ত করবে। আদালত তার সত্যতা যাচাই করবে। কিন্তু মামলার পরপরই একজন সম্পাদককে গ্রেফতার করে ফেলাটা আতংকের বার্তা দেয়। বুঝতে অসুবিধা হয় না, এখানে আইন তার নিজের গতিতে চলেনি। ফাহিমা খাতুনের ভাই খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বামী সাংসদ উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী। ধারণা করতে অসুবিধা হয় না, বাদীর প্রভাবশালী ভাই ও স্বামীর কারণেই সুপারসনিক গতিতে অ্যাকশন হয়েছে।

সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যে আইনের যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, আমাদের আপত্তি সেখানেই। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যে বাংলাদেশের গণমানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথে বড় অন্তরায় কথা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন সবাই। এর আগে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে একই ধারার মামলায় গ্রেফতার করলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি উঠেছে বারবার। কিন্তু বাতিল তো হয়ইনি, উল্টো এর অপব্যবহার বাড়ছে।

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে ‘(এক) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছুপ্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’ এই ধারাটি এতটাই বিস্তৃত এবং ধারণাপ্রসূত যে চাইলে যখন তখন, যে কারও বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে, হয়রানি করা যাবে। ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে রিপোর্টগুলো যদি দৈনিক শিক্ষাডটকম নামে কোনও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাপা না হয়ে ‘দৈনিক শিক্ষা’ নামে কোনও ছাপার পত্রিকায় ছাপা হতো, তাহলেই ফাহিমা খাতুন আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করার সুযোগ পেতেন না। এখন যুগ বদলে গেছে। এখন প্রায় প্রতিটি দৈনিকের অনলাইন ভার্সন আছে। তাই ছাপা পত্রিকায় ছাপা হওয়া নিউজ নিয়ে মামলা করার সুযোগ না থাকলেও একই নিউজ সেই পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ছাপা হলেই ৫৭ ধারার খড়গ নেমে আসতে পারে। বাস্তবতা হলো ৫৭ ধারা বিবেচনায় নিলে অধিকাংশ নিউজের বিরুদ্ধেই মামলার সুযোগ রয়ে যায়। কারণ অধিকাংশ নিউজই কারও না কারও বিরুদ্ধে যায়। যার বিরুদ্ধে যায়, তিনিই মানহানির অভিযোগ আনতে পারেন। ৫৭ ধারা বহাল রাখলে সরকার বরং আমাদের সাংবাদিকতা বন্ধ করে গ্রামে গিয়ে হালচাষ করার পরামর্শ দিতে পারে। একমাত্র হালচাষেই কারও মানহানি করার সুযোগ নেই।

৫৭ ধারা ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে দেশের ১ কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীকেও। ফেসবুকেও প্রায়ই কারও না কারও বিরুদ্ধে লেখা হচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে বহুমত থাকবে, পরমতসহিষ্ণুতা থাকবে। অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও শালীনতা, ধর্মীয় অনুভূতি, ব্যক্তিগত মানহানির বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক সমালোচনাকে যদি মানহানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে তো সবাইকে মুখ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে।

নিজের জীবনের ওপর হুমকির আশঙ্কা নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল প্রবীর শিকদারকে। গত ২৭ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়। এ অপরাধে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাসেদুল ইসলাম রাঞ্জু। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। তার সব কাজ, সব কথা সবার ভালো লাগবে; এমন কোনও কথা নেই। আমি এখনও মনে করি রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা উচিত নয়। শেখ হাসিনার আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দারুণ উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও শেখ হাসিনার ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবো’ এই মনোভাব আমার ভালো লাগেনি। দিলীপ রায় তার ক্ষোভের কথাটিই বলেছেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ।

শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কটূক্তি করলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামলার বাদি হন কোন বিবেচনায়? দিলীপ রায়ের স্ট্যাটাসে যদি ৫৭ ধারায় মামলার উপাদান থাকে, তবে তার স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্য করা শখানেক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে শালীনতা ভঙ্গের অভিযোগে ৫৭ ধারায় মামলা করা যায়। আমরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলি বটে, কিন্তু বাস্তবে আমাদের মধ্যে কোনও পরমতসহিষ্ণুতা নেই। কথায় কথা আমাদের মানহানি হয়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি অশ্লীল আক্রমণে। নিজেরটাই ঠিক, সবার মধ্যেই এই ধারণা প্রবল। আমরা সবাই এক ধরনের মৌলবাদী।

আমি খালি ভাবি, ৭৫’এর আগে যদি ৫৭ ধারা থাকতো, তাহলে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যকেও কারাভোগ করতে হতো। তখন ‘বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানো’র কথা পল্টন ময়দানে বলা গেছে। এখন বলা বা লেখা তো দূরের কথা, মনে মনে ভাবতেও ভয় হয়। আজকের বর্তমান সরকারের পার্টনার জাসদ ৭৫এর আগে যে প্রবল সরকার বিরোধিতা করেছে, এখন তা ভাবাও যায় না। এমনকি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও আমরা যে ভাষায় সরকার বিরোধিতা করেছি, এখন তাও সম্ভব নয়।

কিন্তু আমরা একটি বহু মতের, বহু পথের, বহু দলের গণতান্ত্রিক সমাজ চাই। সমাজ এগিয়ে যাবে তার বৈচিত্র্য নিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় সমালোচনাকে স্বাগত জানান। তবে অবশ্যই তা হতে হবে যৌক্তিক এবং গঠনমূলক। আমরা হয়তো করি না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তাঁর মুখের ওপর প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে, তাঁর সঙ্গে তর্কও করা যায়। প্রতিদিন টক শো’তে সরকারের সমালোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীও টক শো’র আলোচকদের সমালোচনা করে পাল্টা জবাব দেন। গণতান্ত্রিক সমাজ এমনটাই হওয়া উচিত। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতটা সহনশীল, তার দলের লোকজনের মধ্যে তার  ছিটেফোটাও নেই। নইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মামলায় কারাগারে যেতে হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতাকে?

এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতই উন্নয়ন হোক, সমাজে গণতান্ত্রিক স্পেস না থাকলে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে; সেই দেশ, সেই সমাজ এগুতে পারে না। আমাদের বলতে দিন স্বাধীনভাবে। সাংবাদিকরা সরকারের ভুল ধরিয়ে দেবে। সাধারণ মানুষ সরকারের সমালোচনা করবে।

আমরা অবিলম্বে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমানের মুক্তি চাই। অবিলম্বে ছাত্রনেতা দিলীপ রায়ের মুক্তি চাই। এই মুহূর্তে ৫৭ ধারার বাতিল চাই।

লেখক: অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

আরও খবর: আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এফবিআই