সাংবাদিকদের এত ভয় কেন?

আমীন আল রশীদকয়েকটি সংবাদ শিরোনামে চোখ বুলানো যাক। ‘বিএসএমএমইউতে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিককে হেনস্তা’; ‘মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’; ‘অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের হাসপাতালে ঢুকতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী’; ‘গণমাধ্যমে কথা বলতে অনুমতি লাগবে সরকারি কর্মচারীদের’; ‘সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে ইসির সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধন’– ইন্টারনেটে সার্চ দিলে এরকম আরও সংবাদ পাওয়া যাবে। প্রশ্ন হলো, সাংবাদিকদের ব্যাপারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এরকম ভীতির কারণ কী?

গত ১৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক জাকিয়া আহমেদ। পরীবাগের ডক্টরস ডরমেটরি ভবনে টিকা নিতে আসা মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে কিনা, টিকা কেন্দ্রের কী অবস্থা দেখার পাশাপাশি টিকা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় টিকাকেন্দ্রের অবস্থা ভিডিও করার সময় সেখানে দায়িত্বরত রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী দলের টিম লিডার পরিচয়ে এক নারী তাকে বাধা দেন। ভিডিও করার অনুমতি কার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে জানতে চান। জাকিয়া আহমেদ জানান, এখানে অনুমতি নেওয়ার কিছু নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও দিন অনুমতি নেওয়ার কথা বলেনি। এ সময় তাকে উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. খোরশেদ আলমের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জাকিয়া আহমেদের কাছে প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চান। প্রতিষ্ঠানের নাম জানানোর পর দুর্ব্যবহার করেন। জিজ্ঞাসা করেন, আপনার কাজ কী এখানে, আপনি এখানে কেন এসেছেন ইত্যাদি। যদিও পরদিন এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী মেডিক্যালেও সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও স্বাস্থ্যের ডিজি দুঃখ প্রকাশ করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নাজেহাল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাপরিচালকের পূর্ব অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তারা কথা বলতে পারবেন না।

শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, গত বছরের আগস্টে জানানো হয়, বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনও সরকারি কর্মচারী গণমাধ্যমে কথা বলতে কিংবা অনলাইনে বক্তব্য, মতামত বা নিবন্ধ প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে বিভাগীয় কমিশনার অথবা জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য সম্প্রচারে অংশ নেন, তাহলেও বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তার মানে গুণগান গাওয়া বা নিজেদের সাফল্য নিয়ে কথা বলতে কোনও অনুমতি না লাগলেও সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। সরকারের এই নির্দেশনার কারণে সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়া, বিশেষ করে টেলিভিশনের সাংবাদিকদের যেহেতু ক্যামেরায় বক্তব্য প্রয়োজন হয়, সেটি পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কোনও সরকারি অফিসে গিয়ে তথ্য বা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য ও বক্তব্য প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের অনুমতির দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্টরা কথা না বললে বা তথ্য না দিলে সামগ্রিকভাবে সাংবাদিকতাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য না পেলে ভুয়া খবর ও গুজব ডালপালা মেলে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে, যখন দেশে তথ্য অধিকার আইন নামে একটি অত্যন্ত যুগপযোগী ও জনবান্ধব আইন রয়েছে, তখন অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট বা সরকারি কর্মচারী বিধিমালার দোহাই দিয়ে তথ্য ও বক্তব্য না দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া গণমাধ্যমকে দূরে রেখে সরকারের কোনও কাজ সম্পর্কে মানুষকে জানানো যায় না। সাংবাদিকরাই সব তথ্য তুলে ধরেন। আবার কোনও প্রতিষ্ঠানে অন্যায় অনিয়ম হলে সেটিও তুলে ধরেন। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবণতা হলো, তারা শুধু ভালো খবরের প্রচার চায়। সমালোচনা শুনতে চায় না।

ইসিতে হয়রানি:

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ ইস্যুতে একাধিক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ৩১ আগস্ট এর প্রতিবাদে ইসির সামনে সাংবাদিকরা মানববন্ধনও করেছেন। ইসি বিটের সাংবাদিকদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের পাঞ্চ কার্ড দেওয়া হলেও নির্বাচন ভবনে প্রবেশের আগে গেটে নাম এন্ট্রি করতে হয়। আবার নাম এন্ট্রির পরেও অনেককে জেরার মুখে পড়তে হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পুলিশ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট সব গণমাধ্যমকর্মীকে পাঞ্চ কার্ড দেওয়া হয়নি। আবার যাদের কার্ড দেওয়া হয়েছে তাদেরকেও হয়রানির শিকার হতে হয়। পাঞ্চ কার্ড দিয়ে প্রবেশের আগে প্রবেশ পথে খাতায় সংবাদ কর্মীদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হয়। প্রশ্ন হলো, পাঞ্চ কার্ড থাকলে আবার এন্ট্রি কেন? সামগ্রিক বিষয় নিয়ে গত পয়লা সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকরা জরুরি বৈঠক করেন এবং ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি করে দেয় কমিশন।

সাংবাদিকদের ভয় কেন?

প্রশ্ন হলো, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন সাংবাদিকদের ভয় পান বা কেন গণমাধ্যমের প্রতি তাদের ভীতি কাজ করে? এর একটি বড় কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনবান্ধব নয়। খুব ব্যতিক্রম ছাড়া মানুষ এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নির্বিঘ্নে, বিনা হয়রানিতে, বিনা ঘুষে সেবা পায় না। হাতেগোণা কিছু প্রতিষ্ঠান বাদ দিলে জনগণের পয়সায় পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানে গেলেই কোনও না কোনও অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া যাবে। আর যখন সেবাগ্রহীতাদের কাছে গিয়ে সাংবাদিকরা সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ভালো অভিজ্ঞতা শোনা যায় না। আর যখন সাধারণ মানুষ কোনও প্রতিষ্ঠানে সেবা পেতে গিয়ে নিজেদের খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলেন এবং সেই অভিজ্ঞতা যখন টেলিভিশনের পর্দায় বা পত্রিকায় পাতায় প্রকাশিত হয়, তখন এটি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশ্ন ও জবাবদিহিতার ‍মুখে ফেলে। কিন্তু আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনও ধরনের প্রশ্ন বা জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে চান না। বরং তারা চান সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষ তাদেরকে ‘স্যার স্যার’ করবেন। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন হলেও তারা সেই জনগণের কাছ থেকেই ঘুষ না পেলে কাজ করতে চান না। আর এইসব অসঙ্গতি সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে সাংবাদিকের ক্যামেরায়। অতএব সাংবাদিক থাকলেই তাদের সমস্যা। সাংবাদিকরা না থাকলে তারা নির্বিঘ্নে সব ধরনের অন্যায় করতে পারেন। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠানে অন্যায় বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়িও বেশি।

২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর স্বজনকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় সাংবাদিকেরা ওই স্বজনের ছবি তুলতে গেলে ইন্টার্নরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন। এর পর থেকে বারবার নোটিশ ঝুলিয়ে রাজশাহী মেডিক্যালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।

নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির পেছনে একটি অদ্ভুত কারণ উল্লেখ করেছেন একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টার, যিনি বহু বছর ধরে নির্বাচন কমিশন বিট কাভার করেন। সাম্প্রতিক হয়রানির বিষয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গেটের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের মূল কাজ হলো টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনীসহ অন্যান্য কাজ করে দেওয়ার জন্য কাস্টমার সংগ্রহ করা তথা ঠিকাদারি নেওয়া। ইসির গেটে নামধাম জিজ্ঞাসা করার এটিই হচ্ছে মূল কারণ।’ মূলত নির্বাচন প্রশিক্ষণের নামে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সাংবাদিক প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ইটিআই ও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টারও হয়রানি শিকার হন।

নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিক হয়রানির আরও কিছু উদাহরণ দিয়েছেন এই বিটের সাংবাদিকরা। যেমন: ইসির বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণে অনেক সাংবাদিককে টেলিফোনে অথবা ডেকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে; সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফাইল চুরির অভিযোগ তুলে হয়রানি করা হয়েছে; এনআইডি উইং-এ ক্যামেরায় ছবি নিতে গেলে আনসার সদস্যরা ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছেন।  

সবাই সাংবাদিক:

এবার একটু মুদ্রার অন্যপিঠ নিয়ে আলোচনা করা যাক। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হওয়ার পেছনে সাংবাদিকদের নিজেদেরও দায় আছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে শত শত অনলাই সংবাদ পোর্টাল চালু হয়েছে। এর মধ্যে কতটি পেশাদার এবং সত্যিকারের গণমাধ্যম, সে প্রশ্নও রয়েছে। হাতেগোণা কিছু সংবাদ পোর্টাল বাদ দিলে বাকিদের অধিকাংশই মূলত কপি-পেস্ট করে। এদের একটি অংশ উদ্ভট সব শিরোনাম দিয়ে ভুয়া ও হাস্যকর ‘সংবাদ’ প্রকাশ করে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। অনেকে এইসব করে বেশ ভালো পয়সা ইনকাম করে বলেও শোনা যায়।

এইসব অনলাইন পোর্টালের হালের নতুন উৎপাত আইপি টিভি। অসংখ্য অনুমোদনহীন আইপি টিভি এখন ইন্টারনেটের দুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে কথিত সংবাদও প্রচার করে। অথচ এদের অধিকাংশই সাংবাদিক নন। সাংবাদিকতার ন্যূনতম জ্ঞানও অনেকের নেই। কিন্তু তারা বড় বড় রিপোর্টার, এডিটর। ‘এ কী করলেন অমুক’ টাইপের ভিডিও আর চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে কথিত সংবাদ প্রচার করে এইসব আইপি ও অনলাইট পোর্টালের সুবাদে এখন ঘরে ঘরে সাংবাদিক। এসব আইপি টিভি ও অনলাইন পোর্টালগুলো সারা দেশে রিপোর্টার নিয়োগের নামে যে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বা নেয়, সেই খবরও অজানা নয়।

এইসব কথিত গণমাধ্যমের কারণে বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়ছে মূলধারার গণমাধ্যম। যার সাংবাদিক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও নেই কিংবা স্থানীয় লোকজন যাকে ‘টাউট’ হিসেবে চেনে, সেইসব লোক যখন সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়, তখন প্রকৃত সাংবাদিকরাই লজ্জিত হন। সাধারণ মানুষ তখন এইসব ভুয়া ও ভুইফোঁড় সাংবাদিকদের সাথে প্রকৃত সাংবাদিকদের গুলিয়ে ফেলেন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পুরো গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের যে অনাস্থা-অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে, তার পেছনে একটি বড় কারণ এই কথিত অনলাইন পোর্টাল ও আইপি টিভির দৌরাত্ম্য।

কেন সবাই সাংবাদিক হতে চায়?

এর একটি বড় কারণ হলো এই যে, সাংবাদিক পরিচয় থাকলে সমাজে তার হয়রানির শিকার হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। পকেটে বা গলায় প্রেস লেখা আইডি কার্ড থাকলে চলতে ফিরতে পুলিশি হয়রানির হাত থেকেও বাঁচা যায়। ফলে যারা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বা পরিচয় দেওয়ার মতো কোনও কাজের সাথে যুক্ত নন, তাদের মধ্যে কোনও না কোনোভাবে একটি প্রেস কার্ড জোগাড় করার প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। এদের মধ্যে অনেকেই এই প্রেসকার্ডকে ধান্দাবাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সুতরাং, এইসব প্রবণতা বন্ধ করার জন্য প্রথমে এমন একটি রাষ্ট্র ও সমাজকাঠামো প্রয়োজন, যেখানে যেকোনও পরিচয়ের, যে কোনও পেশার, যেকোনও মত ও আদর্শের মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে তাকে প্রেস কার্ড সংগ্রহ করতে হবে না। সেইসাথে যারা স্রেফ ধান্দাবাজি করার জন্য প্রেসকার্ড নেন এবং কথিত অনলাইন পোর্টাল ও আইপি টিভি খুলে বসেন, তাদেরও থামানো দরকার।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।