সুন্দরবন রক্ষার লড়াই

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল যখন আমার উপন্যাস লেখার জন্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। একদিন এক দূর গ্রামের একজন গায়কের সঙ্গে পুকুর ঘাটে বসে গল্প করতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিনের গল্পটা আমাকে বলুন। সেই গায়ক অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলেছিল, এক সাইক্লোনের দিনের গল্প। ভোরবেলা হঠাৎ সাইক্লোন হয়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। সমুদ্রের পানি বাড়তে বাড়তে যখন তার উঠান পর্যন্ত চলে আসে তখন সে একটা গাছের ওপর আশ্রয় নিয়েছিল। এবং দেখছিল তার একমাত্র সম্বল তিনটা গরু যার দুধ বেচে সে জীবিকা নির্বাহ করতো সেই গরুগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। যখন এমন অবস্থা এসে দাঁড়ায় যে গরুগুলোকে ছেড়ে না দিলে সেগুলো ডুবে মরে যাবে, তখন সে একে একে সবগুলো গরুর রশি আলগা করে দেয় এবং তাদের প্রাণ রক্ষা করতেই তাদেরকে পানিতে ভেসে যেতে দেয়। গাছের ওপর বসে বসে গরুদের ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখার সময় সে তার অশ্রু মুছতে থাকে।
বিকালের মধ্যে যখন ঘরের আঙ্গিনা থেকে পানি নেমে যায় তখন সে গাছ থেকে নেমে আসে এবং যেখানে গরুগুলো বাঁধা ছিল সেখানে বসে কাঁদতে থাকে। সে ধরেই নিয়েছিল সর্বনাশী সাইক্লোন তার গরুগুলোর প্রাণ নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তার একটু পরেই সে দেখে গরুগুলো একটা একটা করে বাড়ির দিকে হেঁটে আসছে। একেকটা গরু ফিরে আসে, আর তার মুখের হাসি বাড়তে থাকে। তিনটা গরু যখন এভাবে ফিরে আসে তখন সে খুশিতে কাঁদতে শুরু করে। এই গল্প বলার সময় খুশিতে সেই গায়ক আবার অশ্রু মুছে আমার সামনে বসে।
যারা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা সবাই জানেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন অন্যান্য অনেক অঞ্চলের মধ্যে খুলনা অন্যতম। কিন্তু এর মধ্যেও একটা আশার আলো দেখায় সুন্দরবন।
বঙ্গোপসাগর আর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই মিলনস্থলে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। আমরা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি সুন্দরবন কিভাবে বর্মের মতো সাইক্লোনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাইক্লোনের প্রবণতা বেড়েছে এই অঞ্চলে। এবং আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ও ভারতের অন্যান্য সাইক্লোন প্রবণ অঞ্চলের তুলনায় সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চল সাইক্লোন দ্বারা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তাই সুন্দরবন বাংলাদেশের জন্য এক প্রাকৃতিক বর্ম। সুন্দরবন রক্ষা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার সমতুল্য। এই সুন্দরবন রক্ষা করার কথা কাগজে কলমে বহুবার বলা হলেও যা করলে সুন্দরবন রক্ষা করা যায় তা কি করা হচ্ছে?
বাংলাদেশ ও ভারতের মালিকানায় গঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি করতে যাচ্ছে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র। প্রথমে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও ভবিষ্যতে এর ক্ষমতা বাড়িয়ে ২৬৪০ মেগাওয়াট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৫৬৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ওরিওন বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্রই সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে। আমাদের পাশের দেশ ভারত, যার মালিকানা রয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাদের নিজেদের দেশের ইআইএ গাইডলাইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বা কারখানা নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তারা ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে সরকার বারবার গণমাধ্যম মারফত দাবি করছে এই কেন্দ্র সুন্দরবনের কোনও ক্ষতি করবে না। 

আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে ইউনেস্কো, পরিবেশবাদি দেশি বিদেশি সংগঠন, এনজিও, মানবাধিকার কর্মী, বন বিভাগ, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং কেউ কেউ ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে না বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নরওয়ের গ্লোবাল পেনশন ফান্ড, বিএনপি পারিবাস, ক্রেডিট এগ্রিকোল অ্যান্ড সোসাইটি জেনারেল। এই বহুমুখী আপত্তি ও আশঙ্কার সম্মুখীন হয়েও বাংলাদেশ বা ভারত সরকার কেউই এই প্রকল্প বাতিল করার কথা ভাবছে না। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় ইআইএ রিপোর্ট প্রকাশের বহু আগেই এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ শুরু হওয়া, সামরিক বাহিনীকে বালু ভরাটের কাজে নিয়োগ দেওয়া, এবং তীব্র প্রতিবাদের মুখে স্থানীয়ভাবে কারফিউ জারি করার নজির দেখে বোঝা যায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উভয় দেশের সরকার কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয় ২২ সে সেপ্টেম্বর ২০১৫।  এর মধ্যে থেকে ভারতের ভেল বা ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস্ লিমিটেডকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবং ভেল ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেবে।

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কা করে ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রাস্তাবিত প্রকল্পের পরিবেশগত সমীক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিন্তু এর যথাযথ উত্তর না পেয়ে ইউনেস্কো একটি বিশেষজ্ঞ দলকে প্রকল্প পরিদর্শনে পাঠাবে মার্চ মাসেই।

এই বিশেষজ্ঞ দল কী ফলাফল নিয়ে আসে তা নিয়েও জনগণ উদ্বিগ্ন। কারণ এর আগে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল সুন্দরবনে তেল নিঃসরণের প্রভাব নিয়ে যেই প্রতিবেদন পেষ করেছিল তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে একটা তেলবাহী ট্যাংক ডুবে গেলে  ৩.৫ লাখ লিটার তেল সুন্দরবনের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে জাতিসংঘের একটি অনুসন্ধানী দল ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করে যেই রিপোর্ট পেষ করে তা স্থানীয় উদ্যোগে করা গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে সেই গবেষণার পরিসর ছিল খুবই সীমিত। ক্ষতি নিরুপণ করতে গিয়ে ওই গবেষণা দল যেই গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে তাতে বোঝা যায় যে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি নিরুপণের চাইতে নতুন কনসাল্ট্যান্সি প্রজেক্ট প্রস্তাবনার দিকে এবং পরবর্তী দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সরকারের সক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই দিকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল বেশি। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য না দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার জরুরি বিষয়টি সামনে এনে সেইসময় বিশেষজ্ঞ দলটি নামে মাত্র তাদের কাজ ছেড়ে ফিরে যান। এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুনের গবেষণা ও জাতিসংঘের গবেষণার গবেষণা পদ্ধতি, নমুনা সংগ্রহ, এবং পর্যালোচনার তুলনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ তানজীমুদ্দিন খান “সর্বজনকথা” পত্রিকার প্রথম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত নিবন্ধটি দেখতে পারেন।

উল্লেখ্য সুন্দরবন এমন একটি বন যা শুধু বায়ুদূষণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং যেই পানির মধ্যে ম্যানগ্রোভ জন্মে সেই পানি দ্বারাও বন ধ্বংস হতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লাবাহী জাহাজ আমদানিকৃত কয়লা পরিবহন করে প্রকল্পস্থানে নিয়ে আসবে। এতে শুধু পানিই দূষিত হবে না শব্দের কারণে বনের পশুপাখির জীবনযাপনও বিঘ্নিত হবে। যদিও ইআইএর অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বর্জন হওয়া পানি ও ছাই দ্বারা সৃষ্ট দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তবুও এর দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির আশঙ্কাকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায় না। নর্থ ক্যারলিনাতে ডিউক অ্যানার্জির ছাইয়ের পুকুর থেকে ছাই ডান নদীতে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা আমরা আগেও দেখেছি। তাছাড়া বাংলাদেশ এধরনের বিপর্যয় এর পূর্বে কীভাবে মোকাবেলা করেছে তার উদাহরণও আমাদের স্মৃতিতে সতেজ রয়েছে। ২০১৫ সালে আমরা দেখেছি যেদিন সুদরবনে তেল ছড়িয়ে পড়ে সেদিন সরকার তেল পরিস্কারের জন্য সময় মতো উদ্যোগতো নেয়ই নি, বরং কিছুই করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জনগণকে গ্লাভস বা দূষনরোধী পোশাক ছাড়াই তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তাদেরকে দিয়ে তেল অপসারণ করিয়েছেন। সরকারের এই ধরনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার নিদর্শন দেখে দেশের মানুষ সরকারের পরিবেশ দূষণরোধের  ক্ষমতার এবং আকাঙ্ক্ষার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। খুব আশাবাদী হয়েও যদি ধরে নেই প্রকল্প বাস্তবায়নে দূষণরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হলে দূষণ আংশিকভাবে হ্রাস করা যাবে তাতেও এই প্রকল্প বাস্তবায়নকে একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন পদক্ষেপই বলতে হবে। দূষণ যে পুরোপুরি রোধ করা যাবে না এবং এতে যে ঝুঁকি থেকেই যায় তা ইতিপূর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদাহরণ থেকে দেখেছি। এই ঝুঁকি এরকম স্পর্ষকাতর অঞ্চলে নেওয়া যে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠবে তা জেনেও এই প্রকল্পের উদ্যোক্তারা বারবার এই ঝুঁকিকে দায়িত্বহীনভাবে নাকোচ করে দিচ্ছেন। একদিক থেকে ভারত এই প্রকল্প বাস্তবায়নকে বাংলাদেশে একটি সফল বিনিয়োগ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজ দেশের ব্যাংক থেকে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার এই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে এবং রাজনৈতিকভাবে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে নিজেদের উন্নয়নবান্ধব হিসাবে মহিমান্বিত করতে চাইছে।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণে সুন্দরবনের মতো স্পর্ষকাতর বনাঞ্চল একদিনে ধ্বংস হবে না। প্রতিটি পোকা মাকড়, আগাছা, জলজ উদ্ভিদ, হার্ব, পাখি, প্রজাপতি এই বনের ইকোসিস্টেমকে অনন্য বৈশিষ্ট্য করেছে। এদের যেকোনও একটির অনিয়ম, জীবন-হুমকি পুরো বনের পশুপাখির ভবিষ্যত প্রজনন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলতে পারে দীর্ঘমেয়াদে। আর তাই শিগগিরই এর কুফল না দেখলেও এর কুফল আমাদের সামনে হাজির হবে দীর্ঘমেয়াদে। সেই গায়কের হারিয়ে যাওয়া গরুর মতো সুন্দরবন একবার হারিয়ে গেলে এক বিকেলে অনন্য মহাপ্রাণ নিয়ে হাজির হবে না আবার। কিন্তু সুন্দরবন বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই সেই গায়কের মতো সুন্দরবন অনেক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে প্রাকৃতিক রক্ষকের ভূমিকা পালন করে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প আছে, সুন্দরবনের বিকল্প নেই - এই মহাসত্যটি যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করতে পারবে এই পৃথিবীর মানুষ, যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে কতিপয় মানুষের স্বার্থরক্ষা করে পৃথিবীকে জলবায়ু ঝুঁকিমুক্ত করা যায় না, তত তাড়াতাড়িই এই গ্রহের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থপূর্ণভাবে সক্রিয় হতে পারবে। আর না হলে মিটিং এর পর মিটিং এবং দরকষাকষি করতে করতে হারিয়ে যাবে সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক রক্ষক। আর তাই তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সুন্দরবন অভিমুখে জনযাত্রা শুরু হয়েছে ১০ মার্চ ২০১৬।

এই জনযাত্রায় অংশগ্রহণকারী হাজার প্রাণের অন্তর থেকে বের হয়ে আসছে একটি স্লোগান “বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোনও বিকল্প নেই”। সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য এখনই সময়।   

লেখক: শিক্ষক, ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়