এই নারীরা আজ সমাজে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছেন। শিক্ষা বঞ্চিতরা গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ঋণ-এর বদৌলতে ক্ষমতায়নে দিক নির্দেশনামূলক ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। নতুন প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হওয়ার। চারিদিকে তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে এই প্রজন্ম যেমন খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ভাবনের সুযোগ, তেমনি পাচ্ছেন কর্মসংস্হান, তৈরি পোষাক শিল্প যেভাবে নিজ গতিতে এগিয়েছে, এই গোষ্ঠী আরও প্রখর। বাধাকে বাধা মানেন না তারা, পাশ কাটাবার কৌশল রপ্ত করেছেন তারা। বিপত্তিকে এমন করেই অতিক্রম করেন তারা, যা থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়। নামে নামে বহু উদাহরণ দেওয়া যায়, কিন্তু নাম দিয়ে তো তাদের আসল পরিচয় পাওয়া যাবে না। তারা বিপদে নালিশ করেন না, হেসে উড়িয়ে দেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দিকে তাকিয়ে তারা, শুধু দেশ নিয়ে ব্যস্ত নন।
উদ্ভাবন পুরনো ধ্যান-ধারনা দিয়ে আসবে না, উদ্ভাবনকে বরং স্তিমিত করবে। ব্যর্থতা ছাড়া সফলতা আসবে না, আসা ঠিক নয়- তাতে সাফল্য পাকাপোক্ত হয় না। সাহসী নেতৃত্ব প্রয়োজন। উদ্ভাবনের দায়িত্ব এদেরকে দেওয়া হোক। স্কুল কলেজের মতো কিছু বিশেষজ্ঞ তাদের দেখ-ভাল করবেন আর অভিজ্ঞতার ছাতা তুলে ধরবেন। তাহলে রবিঠাকুরের বৈশাখী আমন্ত্রণ অর্থবহ হবে।
‘ওঁরে নবীন, ওঁরে আমার কাঁচা
আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা...'
ওরাই নবীন, আমরাই আধমরা। ওদের ঘাঁ মারতে দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- তারা তৈরি।
লেখক: কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ