এদিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালত মামলার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আসামিদের পুলিশ ভ্যানে কারাগারে নেওয়ার সময় অন্যতম আসামি শাহেদ নিহত শিশু মনিরের বাবা আব্দাল মিয়াকে বলেন, ‘আমি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তোকে গলা কেটে হত্যা করব। আর কয়দিন বেঁচে থাক। ’
আরও পড়তে পারেন: আইপিএল-এ পাকিস্তানিদের চান আইসিসি সভাপতি
আব্দাল মিয়া হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করে জানান,প্রকাশ্যে গলাকেটে হত্যার হুমকিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজ-এর ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৫ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী স্থানে ৪ শিশুর মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আলীসহ ৭ জনকে আটক করে। ঘটনার অন্যতম আসামী বাচ্চু মিয়া র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আব্দুল আলীর দুই ছেলেসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: যেভাবে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে চায় সরকার
/জেবি/ এমএসএম /