রবিনের রিমান্ড শেষ, এখনও অনিশ্চয়তায় পুলিশ

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সন্দেহভাজন রবিন আদৌ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছেন কিনা, আসামির সাত দিনের রিমান্ড শেষে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানালেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার দেবব্রত ভট্টাচার্য।

এদিকে, রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ এ ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় যে সিসিটিভি ফুটেজে যাকে হত্যাকাণ্ডের স্থলে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা গেছে তিনি আর গ্রেফতার হওয়া শাহ জামান রবিন একই ব্যক্তি কিনা। হত্যাকারীদের একজন সন্দেহে রবিনকে ১১ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ অঞ্চলের শীতল ঝর্ণা নামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে অপরাধ ও তদন্ত বিভাগীয় এই অতিরিক্ত কমিশনার জানান, রবিন ভিন্ন ধাঁচের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। এর আগেও ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পুলিশ মূলত সবক’টি দৃষ্টিকোণ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড খতিয়ে দেখতে চাইছে।  

দেবব্রত আরও জানান, রবিনের রিমান্ডের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এবার আবু নসর গুন্নু নামে সাবেক ওই শিবির সদস্য ও হাটহাজারীর স্থানীয় এক কবরস্থানের রক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আবু নসরকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মিতু হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

মিতুর ব্যবহৃত মোবাইলটি মেলেনি

৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি এলাকায় সন্তানকে স্কুল বাসে তুলে দিতে এসে দুর্বৃত্তদের হাতে সন্তানের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুর মোবাইল ফোনটির কোনও খোঁজ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারীরা মোবাইল ফোনটি ঘটনাস্থল ছাড়ার আগেই সরিয়ে নিয়েছে।

এ মুহূর্তে মিতু হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত পরিচালনা করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। একইসঙ্গে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে র‌্যাব, পিবিআই (পুলিশ তদন্ত ব্যুরো), সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ), সিটিটিসি (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম)।

আরও পড়ুন: তিন মাসেও অধরা তনুর খুনিরা

/এইচকে/