সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ, হতাশায় ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা

Teknaf pic

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের এখনও অনুমতি মেলেনি। একারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা যেতে পারছেনা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে। এতে করে হতাশায় রয়েছেন দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে এসময়ে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের মানুষগুলো অধীর আগ্রহে থাকেন পর্যটকদের বরণ করতে। হোটেল মোটেলগুলোকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করেছেন মালিকরা। কিন্তু জাহাজ বন্ধ থাকায় পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আযহার পরের দিন থেকে সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ডাইন অ্যান্ড ক্রুজ, এলসিটি কুতুবদিয়া, বে-ক্রুজসহ ৬/৭টি জাহাজ চলাচল করে থাকে। এসময় ঈদের ছুটি থাকায় প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়। কিন্তু এবছর তার ব্যতিক্রম ঘটেছে।অনুমতি না থাকায় কোনও জাহাজই পর্যটকদের নিয়ে  এবার সেন্ট মার্টিনে যেতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট জাহাজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জাহাজ মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত  হচ্ছেন, তেমনি পর্যটকরাও সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন মৌসুমের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল-মোটেলের মালিকরাও।

কেয়ারী সিন্দাবাদের ইনচার্জ শাহ আলম জানান, ‘ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি ছিল। যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদনও করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি পাওয়া যায়নি। ফলে ঈদের দ্বিতীয় দিনে শত শত পর্যটক ভ্রমণে এসেও ফিরে গেছেন।’

এদিকে, ছোট ছোট ট্রলারযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক পর্যটককে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু বেশীর ভাগ পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে স্থানীয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাড়ি পার্কিং করে, টেকনাফের বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে ঘুরে দেখছেন। অনেকে টেকনাফ সৈকতে, মাথিন কূপ,নেচার পার্ক, নাফ নদীতে নির্মাণাধীন ট্রানজিট জেটিসহ বার্মিজ মার্কেটে ঘোরাঘুরি করে সময় পার করেন।তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে না পেরে বেশিরভাগ পর্যটক হতাশ ফিরে যাচ্ছেন।

সেন্ট মার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, ‘প্রতি বছর এই সময়ে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ঢল নামে। কিন্তু এ বছর দ্বীপের সাথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ থাকায় কোনও পর্যটক আসেন নি। দ্বীপের মানুষগুলো অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন, কখন পর্যটকের সমাগম হবে। তাদের বরণে দ্বীপের হোটেল মোটেল,রেস্তোরাঁগুলো  সাজানো হয়েছে রঙ -বেরঙে। দ্বীপের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও  রয়েছে স্বাভাবিক।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, ‘এখনও আবহাওয়া ভাল না থাকায় আপাতত সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যথাসময়ে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।’

এপিএইচ/

আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারকে হত্যার হুমকি