কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শনিবার (২৮ জুন) মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। এদিকে, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, তিনি গত ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাকে দেখলেই উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। পরে চিনে ফেলায় কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসে।
এ ঘটনায় মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামি পলাতক অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশের দুটি টিম অভিযানে আছে, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আটক করা হবে। অভিযুক্ত ফজর আলীর রাজনৈতিক পরিচয় ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।