কাঁঠালিয়ায় ছাত্র নির্যাতন মামলায় শিক্ষককে কারাদণ্ড

 

ঝালকাঠিঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় পড়া না পারার অপরাধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক নিরঞ্জন হালদারকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরের ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবির এ রায় দেন।  ১৯৭৪ সালের শিশু নির্যাতন আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী বিচারক তাকে এ দণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি নিরঞ্জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, দণ্ড পাওয়া নিরঞ্জন হালদার কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী জমাদ্দার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাঁশবুনিয়া গ্রামের মৃত নিকুঞ্জ হালদারের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সময়ে ২০১৩ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাসে জাহিদ হোসেন নামের ছাত্র পড়া না পাড়ায়  চুল ধরে বেঞ্চের ওপরে তোলার চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রের মাথার একাংশ চামড়াসহ চুল উঠে যায়। এতে ছাত্র জাহিদ রক্তাক্ত ও জখম হয়। এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে শিক্ষক নিরঞ্জন হালদারকে আসামি করে ২০১৩ সনের ১ এপ্রিল ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

রায় শেষে মামলার বাদী মো. জাকির হোসেন নিষ্ঠুরতার অপরাধে ওই শিক্ষকের সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শামীম হোসেন জানান, ‘বর্তমান সংশোধিত আইনে এ অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু পূর্বের ঘটনার প্রচলিত আইনে আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।’

/এসএনএইচ/