বনদস্যু সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্য কারাগারে

বাগেরহাটসুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সাগর বাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগরসহ আত্মসমর্পণ করা ১৩ দস্যুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের বাগেরগহাট আদালতে নেওয়া হয়। পরে বিকেল ৪টায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলি আফরোজ বনদস্যুদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর ডিএডি বিদ্যুৎ কুমার বাদী হয়ে  অস্ত্র আইনে বনদস্যু সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের শরনখোলায় থানায় মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাগর বাহিনীর প্রধান মো. আলমগীর শেখ ওরফে সাগর (৩৫), মো. কামরুল ফকির (২৭), আ. মালেক (৩৮), কাদের শেখ (৩৮), হাফিজুর শেখ (৪৬), কবির সরদার (৩৪), দেলোয়ার শেখ (৩৮), হাসান সরদার (২২), নান্না ফকির (২৯), তৌহিদুল ইসলমা (৪৩), রাজু শেখ (২৮), লিটন হাওলাদার (৩৪) ও তারিকুল গাজী (৩২)। এদের বাড়ি বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও মংলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের দরজার খাল এলাকা বরিশার র‌্যাব-৮ এর কাছে সাগর বাহিনীর প্রধানসহ ১৩ বনদস্যুকে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৫০ রাউন্ড তাজাগুলি জমা দেয় তারা। ২০ অক্টোবর দুপুরে বরগুনা জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ওইসব বনদস্যুরা। ওইদিন রাতে অস্ত্রশস্ত্রসহ বনদস্যুদের বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, ‘আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের শুক্রবার দুপুরে কড়া পুলিশ প্রহরায় বাগেরহাট আদালতে নেওয়া হলে বিচারক বিকেলে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

/এসএনএইচ/