জামালপুর জেলা পরিষদে আ. লীগের মনোনয়ন

৯৭৯ ভোটারের মধ্যে ৯০০ জনই ‘না’ বললেন জাহিদ আনোয়ারকে


জামালপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রাথী বদলের দাবিতে বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. বাকী বিল্লাহ
রাজাকারপুত্র হিসেবে ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে। মনোনয়ন পাওয়া অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ারকে এ পদে মানতে রাজি নন সিংহভাগ জনপ্রতিনিধি যারা এই নির্বাচনে ভোটার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। জেলার ৯৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ৯০০ জনই এই মনোনয়ন পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। এর বদলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দিনব্যাপী মতবিনিময় সভায় এই আহবান জানান তারা।
জনপ্রতিনিধিরা বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর পছন্দের প্রার্থী ফারুক আহমেদ আহমেদ চৌধুরী সুখে-দুঃখে দলীয় কর্মীদের পাশে থাকেন। কিন্তু, তাকে মনোনয়ন না দিয়ে দেওয়া হয়েছে দল ও কর্মী বিচ্ছিন্ন অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ারকে। এই অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ার একজন রাজাকারপুত্র ও সুযোগ সন্ধানী। দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা তাকে কোনওভাবেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মানবেন না। এ অবস্থায় তার মনোনয়ন বাতিল করে ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দাবি জানান তারা। দলীয় সভানেত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করেন উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা।  
মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চাঁনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভার মেয়র শাহানশাহ, মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা কবির, আ.লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান আশারাফ হোসেন তরফদার, ছানোয়ার হোসেন বাদশাসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত একজন উপজেলা চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, এ সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯৭৯ জন ভোটারের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার মিলিয়ে ৯০০ জন ভোটার উপস্থিত ছিলেন।

/টিএন/