শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগে উত্তেজনা: ধাওয়া, ককটেল ও গুলি বিস্ফোরণ

শাবিপ্রবিতে সতর্ক অবস্থায় পুলিশসিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া, ককটেল ও গুলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় পুলিশ এ খবর নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাম্পাসে ফুডকোর্ট ও গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাস ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, অঞ্জণ রায় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারী কর্মীরা আবাসিক হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও অনুসারী গ্রুপের কর্মীদের হঠাৎ করেই ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ইমরান ও তার অনুসারী কর্মীরা দৌঁড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের দিকে চলে যান। এ সময় পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পরে ইমরানের অনুসারী কর্মীরা উপাচার্য ভবনে এবং সাঈদ, অঞ্জণ ও সবুজের অনুসারী কর্মীরা শাহপরাণ হলের সামনে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
হল সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান নিয়ন্ত্রিত শাহপরাণ হলের ৪-৫টি কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে এবং ইমরানের কক্ষেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই সাঈদ, অঞ্জন ও সবুজের নেতৃত্বে তাদের কর্মীরা অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা করে।’ হামলাকারীরা ইমরান ও তার অনুসারীদের কক্ষ ভাঙচুর ও লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনাকে ক্ষোভের বিস্ফোরণ উল্লেখ করে সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইমরানের কর্মীরা আমার কর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের কর্মীরা তাই ক্ষুব্ধ ছিল তাদের ওপর।’ তবে কোনও ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
শাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মুনশী নাসের ইবনে আফজাল বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’ মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

/টিআর/