ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার রি-এজেন্ট ব্যবহারের অভিযোগে শহরের চরপাড়ার পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে ১০ লাখ টাকা অনাদায়ে ৫ কর্মচারী- ম্যানেজার নূর ইসলাম, ল্যাব ইনচার্জ শাহ সাকিব, ল্যাব সহকারী আশিকুর রহমান, কর্মচারী মোস্তাক আহমেদ ও ইমন মিয়াকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এর আগে ল্যাব এইড প্রাইভেট ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে একই অভিযোগে ৬ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ কর্মচারী- ম্যানেজার হারুন অর রশিদ, ল্যাব ইনচার্জ মৃদুল ঘোষ ও ল্যাব সহকারী রিপন মিয়াকে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে বায়োমেডিক্যাল পরীক্ষার মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল ও রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে র্যাব-১৪-এর সহকারী পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র এএসপি শামীম আরা বেগম ও ড্রাগ সুপার গুলশান জাহান উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার তাদের ল্যাবরেটরিতে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেয়াদ উর্ত্তীণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করে আসছে। এসব রি-এজেন্টের মেয়াদ ২০১৫ সালেই উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু তারা তারিখ টেম্পারিং করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদ লিখে রেখেছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘হৃদরোগসহ জটিল রোগীদের সঙ্গে তারা এভাবেই প্রতারণা করে আসছে। ল্যাব এইড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষও একই কাজ করেছে।’ এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ওই একই ভ্রাম্যমাণ আদালত পপুলার মেডিসিন সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করেছেন। এ সময় মেডিসিন সেন্টারটিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
/টিআর/