বকেয়া বেতনের দাবিতে বিসিসি নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও


বরিশাল সিটি করপোরেশনবরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও ও কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এই বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসের ভিত্তিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওহেদুজ্জামান এই বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত জুলাই মাস থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত প্রায় পাঁচশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বকেয়া আছে। আর অনিয়মিত বা দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তারা বলছেন, এর আগেও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। কিন্তু প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামিয়েছে কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সেই আশ্বাস আর বাস্তবায়িত হয়নি। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ বেতন বৈষম্যের কথাও জানিয়েছেন।
দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিসিসি মেয়র আহসান হাবিব কামাল কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি সভা করেন। পরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসের ভিত্তিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওহেদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে যাতে ২/১ মাসের বকেয়া বেতন দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমি মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের চেয়ে শ্রমিকদের বেতন বেশি হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।’ তবে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সূত্রে জানা গেছে, বিসিসি’র মোট কর্মীর সংখা ১৭শ। এর মধ্যে ৫০৩ জন স্থায়ী এবং বাকিরা অস্থায়ী। এদের সবার বেতনের জন্য প্রায়োজন হয় আড়াই কোটি টাকা। কিন্তু বিবিসি’র রাজস্ব আয় এক কোটি টাকারও কম।

/টিআর/