রাজশাহীতে ক্লিনিকে নবজাতক চুরির অভিযোগ

রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় আরবান হেলথ কেয়ার থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রসূতির মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে  শাহ মখদুম থানায় মামলা দায়ের করেন।

রাজশাহীশুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, ‘বৃহস্পিতবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ক্লিনিক থেকে নবজাতকটি চুরি হয়।শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা জানিয়ে যাচ্ছে। চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তহুরা বেগম ওরফে লাজ খাতুন (৩৫) নামে একজন আয়াকে গ্রেফতার করার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আরবান হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষ ও প্রসূতির পরিবারের অসাবধানতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।’
রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আপেল আহমেদ জানান, ‘ডাশমারী আরবান কেয়ার ইউনিটে  মুক্তি খাতুন (৩০) নামে এক প্রসূতি  বৃহস্পতিবার বিকেলে ভর্তি হন। ওই ইউনিটে সিজারের ব্যবস্থা না থাকায় ডাশমারী  সেন্টারের আয়া লাজ খাতুন  মুক্তিকে  নওদাপাড়া ইউনিটে নিয়ে যান।  তাদের সঙ্গে আয়া লাজের পরিচিত এক নারীও নওদাপাড়া হেলথ কেয়ারে যান।’
তিনি আরও জানান, ‘নওদাপাড়া আরবান হেলথ কেয়ারে এসে ওই নারী নিজেকে প্রসূতির খালা হিসেবে  পরিচয় দেন। সে কারণে তাকে কেউ সন্দেহ করেনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাওয়ার সময় কেয়ারের এক কর্মচারী তাকে জিজ্ঞাসা করেন। ওই নারী জানান, শিশুটির অবস্থা ভালো না, এজন্য তিনি তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।’
আপেল আহমেদ জানান,‘ওই নারী প্রসূতির খালা সেজে কৌশলে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়।’
নবজাতকের নানি রোজিনা জানান, আয়া লাজ খাতুনের সঙ্গে থাকায় তাদের ধারণা ছিল যে, ওই নারীও আরবান ক্লিনিকে কাজ করেন। সে কারণে নবজাতককে কোলে নেওয়া, গরম কাপড় জড়িয়ে দেওয়ার সব কাজ তিনি করলেও তাকে সন্দেহ করেননি।।  শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পরে তারা জানতে পারেন, ওই নারী আরবান ক্লিনিকের কেউ না।

এপিএইচ/